|
|
|
|
প্রতিহিংসায় বালক খুন, গ্রেফতার পড়শি মহিলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রতিহিংসার বশে পড়শি বালককে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বেলদার দাঁতন ২ ব্লকের পোড়লদার এক পুকুর থেকে স্কুলের পোশাকে শুভজিৎ পাহাড়ির (৬) দেহ উদ্ধার হয়। শুভজিৎ ওই এলাকার পোড়লদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। বুধবার বিকেল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। শুভজিতের বাবা অশোক পাহাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে পড়শি মহিলা বুলু সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বহু বছর ধরেই পোড়লদার দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা বুলু সিংহের সঙ্গে দেওর কালু সিংহের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। স্থানীয়দের দাবি, বছর তিনেক আগে থেকে সেই সম্পর্কের অবনতি হয়। এ দিকে কালু নতুন করে ছেলেবেলার বন্ধু অশোকের পাহাড়ির বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। স্থানীয়রা জানান, সেই সূত্রে অশোকের স্ত্রী অনিমার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় কালুর। এই নিয়ে বুলুর সঙ্গে অশান্তিও চলছিল অনিমার। |
ঘটনাস্থলে পুলিশ।—নিজস্ব চিত্র। |
অভিযোগ, সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনেই বলি হতে হয়েছে অনিমা-অশোকের ছেলে শুভজিতকে। বুধবার স্কুলে যাওয়ার সময়ে শুভজিতের সঙ্গেই ছিল সম্পর্কিত ভাইঝি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী টুম্পা পাহাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, পোড়লদার পুলের কাছে অভিযুক্ত বুলু সিংহ টুম্পাকে বলেন, তাঁর ছেলে রঞ্জিতকে ডেকে নিয়ে একসঙ্গে স্কুলে যেতে। টুম্পা ফিরে এসে শুভজিতকে দেখতে না পেয়ে স্কুলে চলে যায়। পরে জানাজানি হয় শুভজিত এ দিন স্কুলেই যায়নি। পরে টুম্পার কাছ থেকে পরিজনরা জানতে পারেন, বুলুই শুভজিতকে স্কুলে যাওয়ার পথে আটকে দিয়েছিল। কারণ জানতে চেয়ে স্থানীয়রা বুলুকে মারধর করলে সে শুভজিতকে খুনের কথা কবুল করে। গ্রামবাসীর দাবি, বুলু তখন স্বীকার করে শুভজিতকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পোড়লদা গ্রামেরই একটি পুকুরে ফেলে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরার জাল ফেলতেই ভেসে ওঠে শুভজিতের দেহ।
প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের পর বুলু সিংহের শাস্তির দাবিতে সরব হন গ্রামবাসী। ঘটনাস্থলে যান এসডিপিও সন্তোষকুমার মণ্ডল, সার্কেল ইন্সপেক্টর পিনাক দত্ত এবং ওসি সুধাংশুশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। স্থানীয়দের দাবি, এলাকার সার্কেল ইন্সপেক্টর ওই মহিলাকে আড়াল করতে চেয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে পিনাক দত্ত বলেন, “গ্রামবাসী আইন হাতে তুলে নিতে চেয়েছিলেন। তাতে বাধা দেওয়াতেই তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই অভিযোগ করছেন।” |
|
|
|
|
|