|
|
|
|
মোদী প্রসঙ্গ এড়িয়ে এনডিএ-তে ফিরে এলেন রামবিলাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৭ ফেব্রুয়ারি |
বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন রামবিলাস পাসোয়ান। নরেন্দ্র মোদীতে আপত্তি জানিয়ে এক যুগ আগে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছিলেন। আজ যখন এনডিএ-তে ফিরে এলেন, সেই মোদীই তখন জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। ঘটনাচক্রে আজ যিনি ছিলেন দিল্লিতেই।
রামবিলাসের ছেলে চিরাগের মোদী স্তুতি, লালু ফোন করলে রামবিলাসের তা না-ধরা, দলের তরফে ‘নতুন বিকল্পের খোঁজ করার’ ঘোষণা, এ সবই লোকজনশক্তি পার্টির এনডিএ-তে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে মোদীকে নিয়ে রামবিলাসের অস্বস্তি যে পুরোপুরি কাটেনি, তা বোঝা গিয়েছে আজও। এ দিন দিল্লিতে থেকেও মোদীর সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার আগেই রামবিলাস বলেন, “জানি মোদী নিয়ে প্রশ্ন করবেন। আমি এনডিএ-তে যোগ দিয়েছি। আর এনডিএ অনেক আগেই মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছে।” সূত্রের খবর, মোদীর সঙ্গে এ বার দেখাও হবে রামবিলাসের। |
|
পুনর্মিলন। মিষ্টিমুখ রাজনাথ ও রামবিলাসের। —নিজস্ব চিত্র। |
আজ সকালে দিল্লি এসেই বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। স্থির হয়, আজই জোট ঘোষণা হবে। রাতে রাজনাথের বাড়িতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে জোট ঘোষণা হয়। রাজনাথ বলেন, “এর থেকে স্পষ্ট, দেশ যে সঙ্কটের মধ্যে যাচ্ছে, বিজেপিই তার সমাধান। দলিতদের মধ্যেও দলের আকর্ষণ বাড়ছে।” রামবিলাস বলেন, “এক সময়ে এনডিএ-র মন্ত্রী ছিলাম। সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে। বাজপেয়ী জমানার পর থেকে এনডিএ শরিকরা সরে যেতে শুরু করেছিল। আজ তারা ফিরে আসছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কথার মধ্যে দিয়ে রামবিলাস ফের বোঝাতে চান যে, তিনি এনডিএ নিয়ে ভাবিত, মোদী নিয়ে নন। যদিও আজ বিহার এনডিএ-র তরফে জারি করা বিবৃতিতে (যাতে চিরাগেরও সই রয়েছে) মোদীর নেতৃত্বে আস্থার কথাই বলা হয়েছে। বস্তুত, লালু-কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার পর এমনিতেই রামবিলাসের আর কোথাও যাওয়ার ছিল না (সনিয়া গাঁধীর বাড়ি তাঁর বাড়ির পাশে হলেও মাঝখানের পাঁচিল বেড়েছে)। সূত্রের দাবি, কংগ্রেস-আরজেডি-র চেয়ে বিহারে অনেক বেশি আসনই রামবিলাসকে ছেড়েছে বিজেপি। মোট ৭টি হাজিপুর, সমস্তিপুর, জামুই, মুঙ্গের, খগড়িয়া, নালন্দা, বৈশালী। রামবিলাস চেয়েছিলেন ৮টি। তাঁকে বোঝানো হয়, এই জোটে বিহার বিজেপির একাংশ ক্ষুব্ধ। আর আসন ছাড়া যাবে না। আরও একটি চিন্তা রয়েছে। রামবিলাসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। লালুর দল এখন থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে যে, মোদী ‘গুন্ডা’দের মদত দিচ্ছেন। বিজেপিকে সেই দিকটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
কেউ কেউ মনে করছেন, বিহারে বিজেপির সামনেও রামবিলাস ছাড়া আর পথ ছিল না। মোদী-প্রশ্নে কংগ্রেস যে ধর্মনিরপেক্ষ জোট গড়তে চাইছিল, সেই প্রয়াসকে জোর ধাক্কা দেওয়া গেল বলে মনে করছেন অনেকে। আর দিল্লিতে ঘাঁটি গেড়ে কাজটি করানোর জন্য মোদীকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। কৃতিত্ব অবশ্য চিরাগও পাচ্ছেন। বাবাকে রাজি করানোর জন্য। |
|
|
|
|
|