|
|
|
|
নেতা-আইপিএসের পাশাপাশি বিজেপির ম্যাজিক পি সি সরকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৭ ফেব্রুয়ারি |
সকলকে চমকে দিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভায় মঞ্চে ছিলেন। যদিও মুখ খোলেননি সে দিন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর উপস্থিতিতে বিজেপির যে প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হল, সেখানে রয়েছে জাদুকর পি সি সরকারের নাম। লড়বেন বারাসত কেন্দ্র থেকে।
চমক এখানেই শেষ নয়। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা জর্জ বেকার। কেন্দ্র হাওড়া। জর্জও হাজির ছিলেন মোদীর ব্রিগেডে। গ্ল্যামারের পাশাপাশি এক সময়ের জয়ীদেরও রাখা হয়েছে তালিকায়। আছে আরও বেশ কিছু প্রাক্তন আইএএস ও আইপিএসের নামও। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ১৭ কেন্দ্রের জন্য দলের প্রার্থী নাম প্রকাশ করেছে বিজেপি।
প্রথম দফায় এই ১৭ জন-সহ সারা দেশে মোট ৫৪ জনের নাম প্রকাশ করেছে মোদীর দল। সেখানে রয়েছে নিতিন গডকড়ী, গোপীনাথ মুন্ডের মতো কয়েক জন ওজনদার প্রার্থীর নামও। দলের প্রাক্তন সভাপতি গডকড়ী এই প্রথম লোকসভা ভোটে লড়বেন। তাঁর কেন্দ্র নাগপুর, যেখানে আরএসএসের সদর দফতর। মহারাষ্ট্রের আর এক কেন্দ্র বিড় থেকে লড়বেন গোপীনাথ মুন্ডে। অনুরাগ ঠাকুরকে হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে। এই প্রার্থী তালিকার প্রকাশের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যায়, শনিবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভিকে সিংহও। |
জর্জ বেকার |
পি সি সরকার |
|
বাংলায় আগ্রহ ছিল বাপ্পি লাহিড়িকে নিয়েও। তবে তাঁর নাম এ দিনের তালিকায় ছিল না। তবে বিজেপি-র একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, পরবর্তী পর্যায়ে মুম্বইয়ের ওই বাঙালি সুরকারের নাম বিবেচনায় আছে। রাজ্যের ৪২টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত, পরের দফার তালিকা চূড়ান্ত হবে ৮ মার্চ।
পি সি সরকার, জর্জ বেকার ছাড়াও পরিচিত বিজেপি নেতাদের মধ্যে উত্তর কলকাতায় রাহুল সিংহ, দক্ষিণ কলকাতায় তথাগত রায়, দমদমে তপন শিকদার এবং কৃষ্ণনগরে সত্যব্রত (জলু) মুখোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন। এর মধ্যে তপনবাবু এবং সত্যব্রতবাবু ওই দুই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ। প্রাক্তন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে মুর্শিদাবাদে সুজিতকুমার ঘোষ, উলুবেড়িয়ায় আর কে মহান্তি, জলপাইগুড়িতে সত্যলাল সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা, প্রার্থী তালিকায় নানা ক্ষেত্রের যে বিন্যাস মোদী চেয়েছিলেন, তারই প্রতিফলন ঘটেছে। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুলবাবুর কথায়, “আমাদের দলের নেতা এবং সমাজের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষ মিলিয়ে ভারসাম্যের তালিকা হয়েছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী কেন্দ্রে যে সরকার গড়তে যাচ্ছেন, একাধিক সাংসদকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়ে এ রাজ্য তার পাশে দাঁড়াবে।” উত্তর কলকাতায় এ বারের প্রার্থী রাহুলবাবু আগে বাঁকুড়া, রায়গঞ্জের মতো আসন থেকে লোকসভায় লড়েছেন। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, বিজেপি রাহুলবাবুকে প্রার্থী করার পরে
তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএম মিলে উত্তর কলকাতায় জমজমাট চতুর্মুখী লড়াই হবে।
প্রথম দফার বাকি আসনগুলির মধ্যে কোচবিহারে হেমচন্দ্র বর্মণ, বালুরঘাটে বিষ্ণুপ্রিয় রায়চৌধুরী, মালদহ উত্তরে সুভাষকৃষ্ণ
গোস্বামী, জঙ্গিপুরে সম্রাট ঘোষ, রানাঘাটে চিকিৎসক সুপ্রভাত বিশ্বাস, মথুরাপুরে তপন নস্কর, ডায়মন্ড হারবারে অভিজিৎ দাস এবং
বাঁকুড়ায় আর এক চিকিৎসক সুভাষ সরকারের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হয়েছে। |
|
|
|
|
|