একটি এসি ট্রামের মধ্যে সংগ্রহশালা ও কাফেটেরিয়া। সেই সংগ্রহশালায় কলকাতার ট্রামের ইতিহাসের খুঁটিনাটি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ধর্মতলা ট্রামডিপোকে ঘিরে বিশাল এলাকাটির সৌন্দর্যায়নে এমনই ব্যবস্থা নিতে চলেছে সিটিসি।
ধর্মতলা ট্রামডিপো চত্বর দীর্ঘ দিন ধরেই আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পরে ভবঘুরেদের আড্ডা জমে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই এলাকায় সৌন্দর্যায়ন শুরু করবে সিটিসি। টেন্ডার ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি, একটি পুরনো ট্রামের দু’টি কামরা নিয়ে কাফে ও সংগ্রহশালা হলে ডিপোর আকর্ষণ বাড়বে বলেই মত কর্তৃপক্ষের। ট্রামটি রাখার জন্য ইতিমধ্যেই ডিপোয় আলাদা লাইন তৈরি করা হয়েছে।
সিটিসি-র এক কর্তার কথায়, “কলকাতায় কবে, কতটা দূরত্ব পর্যন্ত প্রথম ট্রাম চালু হয়, কবে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়, তার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ট্রামের ইতিহাস থাকবে সেখানে। ঘোড়ায় টানা ট্রামের ছবি, স্টিম লোকোমোটিভ ইঞ্জিন, মিটার গেজ ট্রাম লাইনের ছবি, পুরনো টিকিট, ব্রিটিশ চালকদের টুপি ও পোশাকের সংগ্রহ থাকবে। ১৯৪০-এর একটি পুরনো ট্রামকে সাজিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে।” সংস্থার এমডি নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য বলেন, “হেরিটেজ ট্রামকে সংরক্ষণ করতে আর্কাইভ তৈরি করছি। ধর্মতলা শহরের প্রাণকেন্দ্র। এই নতুন ব্যবস্থায় মানুষ কলকাতার ট্রামের ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবেন, পাশাপাশি এলাকার সৌন্দর্যায়নও হবে। গোটা চত্বরের চেহারাটাই বদলে যাবে।”
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র ধর্মতলাকে সুন্দর করে সাজাতে অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিন-চার মাসের মধ্যে ধর্মতলা ট্রামডিপোকে ঝাঁ-চকচকে করে তোলা হবে। সংগ্রহশালা সাজাতে ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ আমলের জিনিসপত্র বিভিন্ন জায়গা থেকে আনার কাজ শুরু হয়েছে। |