ঠিকা শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেডে (ডিপিএল) আইএনটিটিইউসি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ধৃত ২১ জনকে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ মোট সাতটি ধারায় অভিযোগ এনেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তেরা সকলেই এ দিন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কারখানায় এমন ঘটনায় কর্মীরা কাজে গিয়ে নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছেন দাবি করে এ দিনই রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেছে আইএনটিইউসি।
বুধবার বিকেলে আইএনটিটিইউসি-র দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ডিপিএলে। সংস্থার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রড, লাঠি নিয়ে পরস্পরের উপরে চড়াও হয় ওই সংগঠনের দুই নেতা দেবদাস মজুমদার ও জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী কর্মী-সমর্থকেরা। থামাতে গিয়ে জখম হন ডিপিএলের এক নিরাপত্তাকর্মী। ঘটনাস্থলে গিয়ে ইট-পাটকেলে আহত হন জনা তিনেক পুলিশকর্মী। পরে বড় পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আইএনটিটিইউসি-র দুই সমর্থকও আহত হন। এই ঘটনায় বুধবার রাত পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় মোট ২১ জনকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন দুই গোষ্ঠীর দুই নেতা দেবদাসবাবু এবং জয়ন্তবাবুও।
বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে ঢোকার সময়ে জয়ন্তবাবু দাবি করেন, “স্থায়ী কর্মীদের কয়েক জন ঠিকা কর্মী মারধর করে। সে জন্যই গোলমাল হয়।” দেবদাসবাবুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর এক অনুগামীর অবশ্য অভিযোগ, “ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ বরাবর ডিপিএলে যে ভাবে হয়, সে ভাবেই হচ্ছে। অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করে ফায়দা তুলতে চাইছেন কেউ কেউ।”
বৃহস্পতিবার আইএনটিইউসি নেতা উমাপদ দাস বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছে ফ্যাক্সবার্তায় পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ করেন, কারখানার ভিতরে একই সংগঠনের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কারখানার কর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বিশেষত, মহিলা কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অবিলম্বে কারখানায় কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ডিপিএলের এক আধিকারিক বলেন, “পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। কারখানায় কাজের পরিবেশ যাতে ভাল থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |