কলঙ্ক না শাপমুক্তি? বাগানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রাক্তন ফুটবলাররা যা বলছেন... |
চুনী গোস্বামী: এ বছর আই লিগ খেলার আর কোনও সম্ভাবনা নেই মোহনবাগানের। তবে পরের মরসুমে মোহনবাগান আই লিগ খেলছে, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। ফেডারেশন নিশ্চয়ই একটা পথ বের করবে।
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রফুল্ল পটেলের এক বার মোহনবাগানের ইতিহাসের কথাটা ভেবে দেখা উচিত। আমি জানি আইন আইনের পথেই চলে। তবে আবেগটারও তো একটা গুরুত্ব রয়েছে। আমার মনে হয় মোহনবাগানের শাস্তি কমবে। তবে আইনত এই মরসুমে কোনও ভাবেই আই লিগ খেলতে পারবে না ওরা। |
গৌতম সরকার: শাস্তি যদি সম্পূর্ণ মকুব হয়ে যায় তবে তো ফেডারেশনের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাবে। তাই এ মরসুমে মোহনবাগানের আই লিগ খেলা হচ্ছে না। কিন্তু পরের মরসুমে ফের খেলবে।
সুব্রত ভট্টাচার্য: বাংলার এই আবেগটা তো ফেডারেশনের বোঝা উচিত। শাস্তি না কমানোর তো কোনও জায়গা নেই। অন্য ভাবে পেনাল্টি করতে পারে। কিন্তু ফুটবলটা কেড়ে নেওয়া বোধহয় ঠিক হবে না। পরের মরসুমে যদি নির্বাসন তোলার ভাবনা চিন্তা করে ফেডারেশন তবে এ মরসুমে কেন নয়?
সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়: এই ক্লাবটার ইতিহাস, ঐতিহ্য, আবেগ এগুলো ফেডারেশন কর্তাদের অজানা নয়। আমার মনে হয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই মাথায় রেখে মোহনবাগানের শাস্তি কমানো হবে। এ মরসুমে আর না পারুক, পরের আই লিগে মোহনবাগান আবার খেলবে। |
মানস ভট্টাচার্য: ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, তাঁরা সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টা দেখছেন। তবে মোহনবাগান ম্যাচ না খেলে ভুল করেছে, এটা অস্বীকার করতে পারি না। সে কারণে পুরো শাস্তি হয়তো মকুব হবে না। তবে পরের বার আই লিগে মোহনবাগান মূল পর্বে খেলবে বলেই আমার ধারণা।
সঞ্জয় সেন: পুরোপুরি শাস্তি মকুব হওয়া বোধহয় ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে খারাপ একটা ইঙ্গিত হবে। আমার মনে হয় না ফেডারেশন সে রকমই কোনও সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কিছুটা শাস্তি তো কমবেই।
|