|
|
|
|
পানিশালায় এইমস-এর জমি, সমীক্ষা করবে মহিলা তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য চাষিরা স্বেচ্ছায় জমি দিতে ইচ্ছ্বুক কি না সেটা জানতে সমীক্ষা করবে উত্তর দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূল। রবিবার স্থানীয় হাসপাতাল রোড এলাকায় সংগঠনের জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মিসভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়। জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী কেয়া চৌধুরী বলেন, “রাজ্য সরকার ষড়যন্ত্র করে জমি অধিগ্রহণ করছে না বলে অভিযোগে কংগ্রেস দল জেলা জুড়ে আন্দোলন শুরু করেছে। বলা হচ্ছে চাষিরা নাকি স্বেচ্ছায় জমি দিতে রাজি। আমরা সেটাই সমীক্ষা করে খতিয়ে দেখব। পানিশালায় গিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলব। ওঁরা সত্যি স্বেচ্ছায় জমি দিতে রাজি হলে মুখ্যমন্ত্রীকে সেটাই জানিয়ে দেওয়া হবে।”
মহিলা তৃণমূল নেত্রীরা এইমস প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বকে বিঁধতে ছাড়েননি। তাঁরা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল তৈরি নিয়ে কংগ্রেসের তরফে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তাঁদের প্রশ্ন, “চাষিরা সত্যিই স্বেচ্ছায় জমি দিতে ইচ্ছ্বুক হলে প্রায় চার বছরেও কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা কেন চাষিদের দিয়ে লিখিতভাবে জমি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন না?” জমি অধিগ্রহণের দাবিতে রায়গঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সির নেতৃত্বে ১০ জানুয়ারি মহাকরণ ঘেরাও অভিযানের কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। ওই অভিযানে জমি দিতে ইচ্ছুক চাষিদের সামিল করার কথাও বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেসের ওই আন্দোলনের মোকাবিলা করতেই যে মহিলা সংগঠনের তরফে পানিশালা এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত এ দিন নেওয়া হয়েছে তা অস্বীকার করছেন না জেলা তৃণমূলের দুই প্রাক্তন সভাপতি তিলক চৌধুরী ও দিলীপ দাস। এ দিনের কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতা বলেন, “কংগ্রেস হাসপাতালকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফায়দা তুলতে চেষ্টা করছে। সেটা ভেস্তে দিতে মহিলা তৃণমূলের প্রতিনিধি দল হাসপাতালের জন্য প্রস্তাবিত জমির মালিক তথা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে।” দীপা দাশমুন্সি মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ওই সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, রায়গঞ্জে যেন এইমস না হয় সে জন্য তৃণমূল পরিচালিত সরকার ষড়যন্ত্র করে জমি অধিগ্রহণ করছে না। এটা অনেকদিন আগেই স্পষ্ট। ওঁদের কথায় গুরুত্ব দিচ্ছি না। কেন্দ্র রায়গঞ্জেই হাসপাতাল তৈরি করবে। রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ না করলে কী প্রক্রিয়ায় জমি অধিগ্রহণ সম্ভব তাও কেন্দ্র খতিয়ে দেখছে।” ২০০৯ সালে ৮২৩ কোটি টাকায় রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। রায়গঞ্জের পানিশালায় জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত করা ১০০ একর জমি ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আটকে যায়। |
|
|
|
|
|