|
|
|
|
কালিয়াচকে ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
কালিয়াচকে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সিপিএম নেতার ছেলে কামাল সেখকে পুলিশ শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে যে হোটেলে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছিল তার মালিক মোজাহিদ আলিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার ধৃত দু’জনকে আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। চার অভিযুক্ত পলাতক।
মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ও হোটেল মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তের সঙ্গীদের ধরার জন্য পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।”
এ দিকে, কালিয়াচকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ দিন মালদহ শহরের স্কুলের শতাধিক ছাত্রছাত্রী মিছিল করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বামনগ্রাম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তুলে কালিয়াচকের একটি হোটেলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ছাত্রীটি অভিযোগে জানিয়েছে, কালাম নামে যুবকের সঙ্গে তাকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে অপর চারজন চলে যায়। সারা রাত তাকে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে ছাত্রীটিকে একটি ট্যাক্সিতে তুলে বালিডাঙ্গার কাছে নামিয়ে পাঁচ যুবক পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই ঘটনায় যে হোটেল মালিককে গ্রেফতার করেছে সেটি কালিয়াচক থানার সামনেই অবস্থিত। ওই ছাত্রীর মা এ দিন অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ছেলের বাড়ির লোকেরা মোটা টাকা নিয়ে মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তিনি বলেন, “যারা আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে তাদের সঙ্গে মীমাংসা করার প্রশ্নই ওঠে না।”
কালিয়াচকের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের একাংশের মদতে থানার সামনে ওই হোটেলে বহুদিন ধরে নানা অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। ওই সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তরা ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই হোটেলে তুলেছিল। সব জনেও পুলিশ ওই হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হতেই তড়িঘড়ি পুলিশ হোটেল মালিককে গ্রেফতার করে। হোটেলের বোর্ডারদের রেজিস্ট্রার ও সমস্ত নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোজাহার হোসেন বলেন, “থানার সামনে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হল অথচ পুলিশ জানতে পারল না এটা মেনে নেওয়া যায় না। হোটেলটি বন্ধ করে দিতে হবে। পুলিশ না করলে এলাকার বাসিন্দারাই তা বন্ধ করে দেবেন।”
এ দিন মালদহ আদালতে দাঁড়িয়ে ধৃত সিপিএম নেতার ছেলের দাদা বাবুল সেখ বলেন, “যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আমরা ওই মেয়ের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু মেয়ে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। যে কোনওভাবে আমরা মীমাংসা করার চেষ্টা চালাচ্ছি।” ধৃত হোটেল মালিকের আইনজীবী মহিবার রহমান দাবি করেন, মোজাহিদ আলি নির্দোষ। তিনি বলেন, “ভোটার আইকার্ড ছাড়া হোটেলে ঢুকতে দিয়ে মালিক ভুল করেছে।” |
|
|
|
|
|