|
|
|
|
বিনোদন |
দুঃস্থ সাংস্কৃতিক কর্মীদের
পাশে দাঁড়াতে নাট্যমেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
|
|
নাটকের মঞ্চকে হাতিয়ার করে দুঃস্থ নাট্যকর্মী তথা সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে উত্তরপাড়ার গণভবনে ‘নাট্যমেলা’ শুরু করেছে নাট্যসংস্থা ‘সমতট’।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া ত্রয়োদশ এই নাট্যমেলা চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১১ দিনে ১২টি পূর্ণাঙ্গ নাটক পরিবেশিত হবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দুঃস্থ বা শয্যাশায়ী নাট্যকর্মীদের সাহায্যার্থে টিকিট বিক্রির ২৫ শতাংশ টাকা এত দিন ‘বঙ্গ নাট্য সংহতি’র তহবিলে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ বার এক লক্ষ টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। |
|
ছবি: কৌশিক নাগ। |
পাশাপাশি, অসুস্থ নাট্যকর্মী, সিনেমার কর্মী, লিটল ম্যাগাজিন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের দুঃস্থ সাংবাদিকদের কথা ভেবে আরও এক ধাপ এগোনোরও চেষ্টা করছেন তাঁরা। সমতটের সম্পাদক বাসুদেব হুঁই বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সাংস্কৃতিক জগতের দুঃস্থ কর্মীরা অসুস্থ হলে তাঁদের চিকিৎসায় বিশেষ ছাড় দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ওই হাসপাতালের কাছে। সম্মতিও মিলেছে।”
ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর শুভাশিস মিত্র জানান, বছরে দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ‘হেলথ্ কার্ড’ করালে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে। দুর্ঘটনাজনিত এবং সাধারণ মৃত্যুর ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা বিমা পাওয়া যাবে। হাসপাতালের নিজস্ব দোকান থেকে ওষুধ কিনলে দামে ১০ শতাংশ ছাড় মিলবে। বিভিন্ন রকম পরীক্ষার ক্ষেত্রেও পাওয়া যাবে ১৫ শতাংশ ছাড়। পরিবারের ১ থেকে ৪ জন ব্যবহার করতে পারবেন ওই কার্ড। শুভাশিসবাবু বলেন, “অনেক অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে বহু কষ্ট স্বীকার করে শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখেন শিল্পীরা। তাঁদের জন্য কিছুটাও যদি করতে পারি, তাতে আখেরে শিল্পকলা সমৃদ্ধ হবে।” এ বার সমতটের এই নাট্যমেলার উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী এবং অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় চার্বাক নাট্যগোষ্ঠীর ‘দুধ খেয়েছে ম্যাও’। রবিবার পরিবেশিত হয় পঞ্চম বৈদিকের ‘অচলায়তন’। রয়েছে লোকদৃষ্টি, ঋত্বিক, স্বপ্নসন্ধানী, নান্দীকার, অন্য থিয়েটার, সায়ক, সংস্তব, মিনার্ভা নাট্যসংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের মতো জনপ্রিয় গোষ্ঠীর নাটক। সমতট নিজেরাও দু’টি নাটক পরিবেশন করবে ‘সিন্ডারেলা’ এবং ‘আমি আমার মতো’। |
|
|
|
|
|