|
|
|
|
বিনোদন |
সুন্দরবন নাট্য উৎসব ন্যাজাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
|
|
কয়েক বছর আগে কয়েক জন নাট্যপ্রেমী কিশোর-কিশোরীর চেষ্টায় ন্যাজাটে শুরু হয়েছিল সুন্দরবন নাট্য উৎসব। দেখতে দেখতে ন’বছর কেটে গেল এই উৎসবের।
গত বুধবার স্থানীয় এন জি পাল মেমোরিয়াল কেজি স্কুল মাঠে এই বছরের নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রজতাভ দত্ত। উপস্থিত ছিলেন দেবদূত ঘোষ-সহ অন্যান্য নাট্য ব্যক্তিত্বেরা। উদ্বোধনের দিন কলকাতার স্বপ্নসন্ধানীর ‘সেই সুমৌলি’ ও আয়োজক কমিটির নিজস্ব উপস্থাপনা ‘শহীদ’ নাটক দু’টি উপস্থাপিত হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সন্দেশখালির ৮টি শিশুদের স্কুলের ৬০০ ছাত্রছাত্রীর হাতে ইউনিফর্ম ও আয়লা-প্লাবিত দুঃস্থ মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
নাট্য উৎসব ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মত। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
উপস্থিত অতিথিরাও দর্শক-উপস্থিতি নিয়ে তাঁদের উৎসাহ প্রকাশ করেন। রজতাভবাবু বলেন, “একটা প্রত্যন্ত গ্রামে নাটক দেখার জন্য দর্শকদের উৎসাহ দেখে সত্যিই ভাল লাগছে। কলকাতায় ফিরে এখানকার নাট্যপ্রেমী দর্শকদের কথা বন্ধুদের বলব।” নাট্য উৎসব কমিটির সম্পাদক তপন দেব বলেন, “এলাকার মানুষের কাছে সুস্থ সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই নাট্য উৎসবের আয়োজন। রাজ্য সরকার ও বাংলা নাট্য অ্যাকাডেমি যদি প্রত্যন্ত এলাকার নাটকের দলগুলিকে আর্থিক সাহায্য করে, তা হলে বাংলায় নাটক আরও সমৃদ্ধ হবে।” নাট্য উৎসব শেষ হল ২৩ ডিসেম্বর। বিভিন্ন দিনে প্রযোজিত হয়েছে মিনার্ভা রেপার্টরি থিয়েটারের ‘দেবী সর্পমস্তা’, কলকাতা থিয়েটার হাউসের ‘গভীর অরণ্য’, ব্লাইন্ড অপেরার ‘বৃহন্নলা’, গোবরডাঙ্গা শিল্পায়নের ‘কর্ণেলকে কেউ চিঠি লেখে না’ প্রভৃতি নাটক। মেলা উপলক্ষে প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরে একটি আলোকচিত্র প্রদশর্নীরও আয়োজন করা হয়েছিল। উৎসবের একটি মুহূর্ত। |
|
|
|
|
|