বিনোদন নাটক-গানে জমে উঠেছে
বরাকর সাংস্কৃতিক উৎসব

লকাতা থেকে এসেছে গানের দল। পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে সীমানা পেরিয়ে চলে এসেছে নাটকের দল। আর স্থানীয় শিল্পীরাতো আছেনই। শনিবার বেগুনিয়া মোড়ে গুরু মেডিক্যাল ময়দানে শুরু হল বরাকর সাংস্কৃতিক উৎসব। উদ্বোধন করেন ইসিএলের ডিরেক্টর পার্সোনালের স্ত্রী সাধনা শ্রীবাস্তব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা। উদ্যোক্তারা জানান, জন্মের সার্ধশতবর্ষে এ বারের উৎসব স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করে। উৎসব চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
একুশ বছর আগে চার দিনের এই উৎসবের সূচনা করে বেগুনিয়া সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। বরাকর-ডিসেরগড় রাস্তার পাশে বেগুনিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয় এই উৎসব। তবে গত পাঁচ বছর ধরে স্থান পরিবর্তন হয়ে বেগুনিয়া মোড়েই চলছে উৎসব। আয়োজক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুজিত লায়েক জানান, শিল্পাঞ্চলে সাংস্কৃতিক মঞ্চের অভাব ছিল। এলাকার মানুষের চাহিদাতেই তাই শুরু হয় এই উৎসব। বিদ্যালয় মাঠের ছোট্ট পরিসরে ভিড় উপচে পড়ায় পরে জায়গা পরিবর্তন করা হয়।
বরাকর উৎসবের সূচনায় বর্ণময় নাচ কচিকাঁচাদের। ছবি: শৈলেন সরকার।
মেলার প্রথম দু’দিনে ছিল, নাচ, গান ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। প্রথম রাতে ঝাড়খণ্ডের ডুমুর কুন্দা ‘যাযাবর নাট্যগোষ্ঠী’ উপস্থাপনা করে ‘সূর্য ওঠার আগে’ নাটকটি। পরের দিন নাটক মঞ্চস্থ করেন স্থানীয় সোদপুরের ‘শারদীয়া নাট্যগোষ্ঠী’। রবিবার সন্ধ্যায় ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। কলকাতার ‘ড্রিম প্রিন্স’ ব্যান্ডও গান গেয়ে শোনায় এ দিন। আজ, সোমবার রয়েছে বিভিন্ন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও বাংলা গানের প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় ভজন ও গজল পরিবেশন করবেন অনল চট্টোপাধ্যায়। আধুনিক বাংলা গান শোনাবেন সৈকত মিত্র।
এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন বরাকর, কুলটি, নিয়ামতপুর, রাধানগর, চিত্তরঞ্জন, মিঠানি, আসানসোল, বার্নপুর, এমনকি পুরুলিয়ার পারবেলিয়া ও সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের নিরসার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। স্থানীয় কবি শুভময় চক্রবর্তী, আবৃত্তি শিক্ষক কুলটির কল্যাণ দাশগুপ্ত, নৃত্যশিল্পী কাবেরী দে, চিত্তরঞ্জনের সঙ্গীতশিক্ষক স্বরজিত চট্টোপাধ্যায়, আসানসোলের সঙ্গীতশিক্ষক কিংশুক মুখোপাধ্যায়রা জানান, শিল্পাঞ্চলের শিল্পী সাহিত্যিকদের মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই মেলা। ডুমুর কুন্দার শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়, মাইথনের ডিমোবিলির বরুণ পাল, ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবির চিত্রশিল্পী তথা প্রশিক্ষক পল্লব মজুমদারদের মতে, ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত এলাকা বরাকর। এই উৎসব তাই দুই রাজ্যের শিল্পী সাহিত্যিকদের সাংস্কৃতিক বিনিময়েরও একটি ক্ষেত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.