অস্থায়ী পরিকাঠামো ব্যবহার করে আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকেই কোচবিহারে মণীষী পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। বুধবার ওই ক্লাস চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অস্থায়ী পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে কোচবিহারের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও একটি কলেজ ভবন ঘুরে দেখেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায়। কৃষি খামার এলাকার স্থায়ী ভবনের জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাবিত জমিও ঘুরে দেখেন তাঁরা। উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী ও নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় শিক্ষা দফতরের ডাকা বৈঠকে ক্লাস চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অস্থায়ী পরিকাঠামোর ব্যাপারে রিপোর্ট দেবেন উপাচার্য। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই উপাচার্যের ঘুরে দেখা অস্থায়ী পরিকাঠামো গুলির মধ্যে কোথায় ক্লাস চালু করা হবে তা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি ওই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এগজিকিউটিভ কাউন্সিল গঠন, রেজিস্টার, কন্ট্রোলারের মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে নিয়োগের ব্যাপারও ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, “জুনের আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস চালুর চেষ্টা করছে। আমরাও তেমনই চাইছি। সে জন্য অফিস ঘর, ক্লাস চালানোর জন্য ৫-৬ টি রুম দরকার। অস্থায়ী ওই পরিকাঠামোর ব্যাপারে দুই একটি জায়গা ঘুরে দেখেছিয় বিকল্প প্রস্তাবও আছে। সবকিছু নিয়ে ২৮ তারিখের বৈঠকে রিপোর্ট দেব। সেখানেই কবে, কোথায় ক্লাস চালু করা হবে তা চূড়ান্ত হবে।” জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কোচবিহারে এসে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্যানাস করেন। কোচবিহার বিবেকানন্দ স্ট্রীট এলাকায় কৃষি খামারের ২০ একর জমিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দফতর। কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকে ক্লাস চালুর জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনুরোধ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরিতে টাকার অভাব হবে না বলেও উনি আশ্বাস দিয়েছেন।” |