রাজ্যের বন্ধ ও রুগ্ণ কারখানার ফাঁকা জমিতে শিল্প গড়ার কথা শোনা গিয়েছে আগেই। এ বার ইএসআই হাসপাতালগুলির ফাঁকা জমিতে হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্প গড়ে তোলার কথা শোনালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তাঁর কথায়, “সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই সব প্রকল্প গড়া হতে পারে।”
রুগ্ণ ও বন্ধ কারখানার হাতে থাকা ফাঁকা জমির পরিমাণ কত, রাজ্য সরকার এখনও তা জানে না। তবে এই ধরনের জমি খুঁজে বার করে তার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি সংস্থাকে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইএসআই হাসপাতালগুলিতে কত অতিরিক্ত জমি পড়ে রয়েছে, তারও কোনও ঠিক হিসেব দিতে পারেননি পূর্ণেন্দুবাবু। হাসপাতাল ছাড়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আর কী কী প্রকল্প গড়া হতে পারে, সেই বিষয়েও বিশদ ভাবে কিছু জানানি শ্রমমন্ত্রী। তিনি শুধু বলেছেন, “রাজ্যে ১৩টি ইএসআই হাসপাতালে প্রচুর অব্যবহৃত জমি পড়ে রয়েছে। ওই সব অতিরিক্ত জমি ফেরত চেয়ে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ইএসআইসি-কে চিঠি দিয়েছি। কারণ, জমির মালিক তারা।” ওই সব বাড়তি জমি হাতে পেলে যৌথ উদ্যোগে হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য প্রকল্প গড়া হবে।”
পূর্ণেন্দুবাবু জানান, বছর তিনেক আগে বালিটিকুরিতে ইএসআই হাসপাতালের মধ্যে পড়ে থাকা ফাঁকা জমিতে মেডিক্যাল কলেজ গড়া হবে বলে ৯০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রকল্পের ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি। রাজ্যের বেশির ভাগ ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণের কাজ হয়েছে বলে মন্ত্রীর দাবি।
বুধবার মহাকরণে আঞ্চলিক ইএসআই কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে ওই অতিরিক্ত জমি রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে। সেই সঙ্গে ইএসআই খাতের যে-টাকা রাজ্য থেকে ইএসআইসি তহবিলে জমা পড়ে, তার আট ভাগের সাত ভাগ রাজ্যের শ্রম দফতরকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছে। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “রাজ্য থেকে ইএসআইসি যে-টাকা পায়, এখন তার আট ভাগের এক ভাগ মাত্র আমাদের দেওয়া হয়। এ বার আমরা উল্টোটা দাবি করছি।” |