|
|
|
|
গোর্খাল্যান্ড চায় গোর্খা পরিসঙ্ঘ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দার্জিলিং জেলা এবং গোটা ডুয়ার্স নিয়ে আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি তুলল দেশের গোর্খাদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ভারতীয় গোর্খা পরিসঙ্ঘ। বুধবার শিলিগুড়িতে পরিসঙ্ঘের তিনদিনের রাষ্ট্রীয় অধিবেশন শেষ হয়। সেখানে গোর্খাল্যান্ড টাস্ক ফোর্সের (জিটিএফ) মাধ্যমে আলাদা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক হয়েছে। এদিন পাহাড়ের মোর্চা এবং জিএনএলএফ বিরোধী দলগুলিও পরিসঙ্ঘের সদস্য হিসাবে একযোগে কাজ করার কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, অধিবেশনে উপস্থিত থেকে পরিসঙ্ঘকে সমর্থন জানিয়েছেন সিকিম কংগ্রেস তথা ওই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরবাহাদুর ভান্ডারিও। পরিসঙ্ঘের নব নির্বাচিত সভাপতি এনোস দাস প্রধান বলেন, “সারা দেশের ২৪টি রাজ্যের ২৫০ জন প্রতিনিধি অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশের গোর্খাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে আলাদা রাজ্যের দাবি ফের উঠে এসেছে। গোর্খা লিগ, সিপিআরএম, গোর্খাল্যান্ড রাষ্ট্রীয় নির্মাণ মোর্চা, গোর্খা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট আমাদের সঙ্গে এসেছেন। আলাদা রাজ্যের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন, প্রচার অভিযান শুরু হবে।” পাহাড়ের ক্ষমতাসীন দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকেও পরিসঙ্ঘের পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হবে বলে এনোস দাস প্রধান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, আমরা গোর্খাদের উন্নতি, অস্বস্তি রক্ষার কথা বলছি। জিটিএ এবং কোনও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এই সমস্যার সমাধান হতে পারে না। প্রয়োজন আলাদা রাজ্য গোর্খাল্যান্ড। সেখানে পাহাড়ের তিনটি মহকুমা তো বটেই গোটা ডুয়ার্সেকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলা হয়েছে। অধিবেশনে সিকিমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরবাহাদুর ভান্ডারি বলেন, “আলাদা রাজ্য ছাড়া গোর্খাদের কোনও উপায় নেই। তাই আমরা পরিসঙ্ঘকে সমর্থন করছি। দার্জিলিঙের কংগ্রেস নেতা কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের কথা বলছেন। আমরা তাঁদের বোঝাব। একযোগে দিল্লিতে দরবার না করলে সুফল মিলবে না।” আর গোর্খাল্যান্ড টাস্ক ফোর্সের আহ্বায়ক রাম মোক্তান বলেন, “আমরা দার্জিলিং বা কলকাতায় কোনও দরবার করব না। আমাদের লক্ষ্য দিল্লি। সেখানেই সাংসদের সমর্থন আদায় করা, ধর্না, প্রচার নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।” অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহেন্দ্র পি লামাও। |
|
|
|
|
|