|
|
|
|
হাজিরা নিয়মিত করতে পুরসভার ‘অস্ত্র’ প্রযুক্তি |
সৌমিত্র কুণ্ডু • শিলিগুড়ি |
পুরসভায় বিভিন্ন দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের হাজিরা অনিয়মিত বলে অভিযোগ রয়েইছে। তা ঠেকাতে এ বার হাতের ছাপ দিয়ে ইলেকট্রনিক্স ব্যবস্থায় হাজিরা দেওয়ার বিশেষ বন্দোবস্ত করছে শিলিগুড়ি পুরসভা। পাশাপাশি, পুরসভায় কে কখন আসছেন, যাচ্ছেন তার নজরদারি করতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে। বুধবার পুরসভার মেয়র পারিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। দ্রুত যাতে ওই ব্যবস্থা চালু করা হয় সে জন্য মেয়র পারিষদরা মত দিয়েছেন।
শুধু পুরসভার মূল ভবনেই নয় বরো অফিসগুলিতেও ওই একই ব্যবস্থা চালু করবেন পুর কর্তৃপক্ষ। কারণ অফিসের সময় বরোগুলিতেও কর্মী, আধিকারিকদের একাংশ নিয়মিত থাকছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। পুরসভার একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরসভার মূল ভবনে ঢোকার মুখে দু’টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। একটি ক্যামেরা গেটে বসানো থাকবে। সেটি পুর ভবনের ঢোকার দরজার দিকে মুখ করা থাকবে। অপর ক্যামেরাটি পুরভবন থেকে গেটের দিকে মুখ করে বসানো হবে। যাতে পুর ভবনে কারা যাতায়াত করছেন তা বোঝা যায়। বরোগুলিতে আপাতত একটি করে ক্যামেরা বসানো হবে ঢোকার গেটের সামনে।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আগেও পারিষদদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। আমরা দ্রুত সেই কাজ করতে চাই।” পুরসভার মূলভবন এবং পাঁচটি বরো অফিসে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা এবং কর্মীদের হাজিরার ইলেক্টনিক্স যন্ত্রাংশ বসাতে কী খরচ পড়বে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুর সচিব কাজল কান্তি সাহাকে। পূর্ত দফতরের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালু হলে হাজিরার ক্ষেত্রে অনিয়ম অনেকটাই কমবে বলে তাঁরা আশাবাদী। কাউন্সিলরদের অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দায়িত্বসম্পন্ন পুরকর্মী, আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন এতে অনেকেই সতর্ক হবেন। বাস্তবে, পুরসভার কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে শুরু থেকেই সচেষ্ট হয় নতুন পুর বোর্ড। কর্মীদের অনেকেই দেরিতে অফিসে ঢুকছেন খবর পেয়ে শুরুতে মেয়র নিজেই কর্মীদের হাজিরার বিষয়টি নিয়মিত দেখতেন। তাতে ফল মিললেও ক্রমেই কর্মী, আধিকারিদের একাংশ অনিয়ম শুরু করেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, বরো চেয়ারম্যান থাকার সময় কৃষ্ণ পাল নানা সময়ে আচমকা পুরসভায় ঘুরে কর্মীদের হাজিরা খতিয়ে দেখেন। পুর কমিশনারের মতো আধিকারিকরাও কর্মীদের হাজিরার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে আচমকা পরিদর্শনে গিয়েছেন বিভিন্ন বিভাগে। মেয়র-সহ অন্যান্য পারিষদদের দফতর থাকার পরে মূল অফিসেই অনেকে ফাঁকি দেন, ছুটির আগেই চলে যান। নজরদারির কম থাকায় বরো অফিসগুলির কর্মী, আধিকারিকদের একাংশ হাজিরার ক্ষেত্রে অনিয়মিত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে অভিযোগ। অফিসে হাজিরা দিয়ে কিছু কর্মী ব্যক্তিগত কাজে অন্যত্র যান বলেও অভিযোগ রয়েছে। |
|
|
|
|
|