টুকরো খবর |
জমি দখল করে অস্থায়ী নির্মাণ, ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পূর্ত দফতরের জমি দখল করে রাতারাতি গড়ে উঠল একটি অস্থায়ী নির্মাণ। ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠের পাশে গত সোমবার রাতে বাঁশ ও হোগলা পাতা দিয়ে ওই ঘর তৈরি করা হয়েছে। তবে, কারা, কী উদ্দেশ্যে ওই নির্মাণ করেছে জানা যায়নি। মঙ্গলবার সকালে এই নিয়ে শহরে আলোড়ন পড়ে যায়। যে জায়গায় অস্থায়ী ওই ঘরটি তৈরি হয়েছে, সেটি রিকশা স্ট্যান্ড। পুরসভা থেকে স্থায়ী রিকশা স্ট্যান্ড বানিয়ে না-দেওয়ায় ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের ওই জায়গাতেই রিকশা রাখেন চালকেরা। রিকশা চালকদের তরফে অরূপ রুইদাস বলেন, “শহরে রিকশা রাখার আর কোনও জায়গা নেই। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।” পূর্ত দফতরের সহ-বাস্তুকার লক্ষ্মীকান্ত মাইতি বলেন, “বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পূর্ত দফতরের জমি দখল করে ইদানীং ঘাটাল শহর-সহ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী-অস্থায়ী নির্মাণ গড়ে উঠছে। সম্প্রতি পূর্ত দফতরের অফিস থেকে একশো ফুট দূরে নয়ানজুলি বুজিয়ে জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পূর্ত দফতরের এক শ্রেণির আধিকারিক ও কর্মীদের যোগসাজশের ফলেই সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। পূর্ত দফতর থানায় অভিযোগ জানিয়ে দায় সেরে ফেলছে। যদিও পূর্ত দফতর এই অভিযোগ মানতে নারাজ। এ দিকে, শহরে সরকারি জমি একের পর এক দখল হয়ে যাওয়ায় আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা বলেন, “পূর্ত দফতর ব্যবস্থা না নিলে আমরা দলীয় ভাবে আন্দোলন শুরু করব।” ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইও “সরকারি জমি বেদখল মানা হবে না” বলে জানিয়েছেন। |
আধুনিক মোড়কে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দ্রব্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
নতুন মোড়ক হাতে জেলাশাসক। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী আধুনিক মোড়কে ও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড নামে বিপণনে উদ্যোগী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
জেলার কয়েক হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি শীতবস্ত্র, ব্যাগ, চানাচুর, গয়না বড়ি-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ‘উরজা’ নামে আধুনিক প্যাকেটে পাওয়া যাবে বাজারে। লোগো উদীয়মান সূর্য। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে এই নতুন লোগো ও ব্র্যান্ড-নামের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি। সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক জানান, জেলায় প্রায় ২৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। উন্নত মানের প্যাকেজিং-এর অভাবে ওই সমস্ত সামগ্রী আশানুরূপ বিক্রি হয় না। তাই এই উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের। পাশাপাশি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য জেলার সরকারি ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত তথ্য রাখা হয়েছে। জেলাশাসক জানান, আগামী মাসে হলদিয়ায় শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য স্টল থাকছে। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, জেলা পরিষদের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত জেলাশাসক অজয় পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। |
উদ্যোগ পূর্বে বামেদের আইন অমান্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
দুই জেলায় বাম বিক্ষোভ। ঝাড়গ্রাম মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে (বাঁ দিকে) ছবিটি তুলেছেন
দেবরাজ ঘোষ। তমলুক জেলাশাসকের দফতরের সামনে (ডান দিকে) পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি। |
প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবাদ-সহ নানা দাবিতে বামপন্থী শ্রমিক ইউনিয়নগুলির ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচি পালিত হল পূর্ব মেদিনীপুরে। বুধবার সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু, সিপিআই-এর এআইটিইউসি-সহ বামফ্রন্ট, আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্রমিক সংগঠনের প্রায় হাজার দুয়েক সমর্থক জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ে জমা হন। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা সিটুর জেলা সভাপতি নির্মল জানা, প্রণব দাস, সিপিআই জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন ঘড়া, আরএসপি জেলা সম্পাদক অমৃত মাইতি, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অশ্বিনী সিংহ প্রমুখ। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিবাদ, খাদ্য সুরক্ষা দাবি, অসংগঠিত শ্রমিকদের ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বেতন প্রভৃতি নানা দাবিতে সরব হন বাম নেতারা। জেলা বামফ্রন্ট নেতাদের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তৃণমূল নন্দীগ্রাম-সহ সারা জেলায় সন্ত্রাস চালাচ্ছিল। গত দেড় বছরে তা আরও বেড়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট যাতে প্রার্থী দিতে না পারে সে জন্য প্রকাশ্যে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। সিটু জেলা সভাপতি তথা সিপিএম নেতা নির্মল জানা বলেন, “হলদিয়া থেকে এবিজিকে তাড়ানো-সহ শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল। মানুষ প্রতিবাদ করছেন। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালাব।” বিকেল ৩টা নাগাদ জেলা বামফ্রন্ট নেতা, সমর্থকরা মিছিল করে জেলাশাসকের অফিসের সামনে আইন অমান্য করে গ্রেফতার হন। পুলিশ ২১ জন বামফ্রন্ট নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের কথা ঘোষণা করে। |
মনোনয়ন পত্র ছেঁড়ার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
স্কুল ভোটে সিপিএম প্রভাবিত প্রার্থীদের মনোনয়ন ছিঁড়ে ফেলা ও মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার দুুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানপুর-১ ব্লকের মহম্মদপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। স্কুলের পরিচালন সমিতি বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। ৩০ ডিসেম্বর ওই স্কুলে নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই সূত্রেই ২০ ডিসেম্বর মনোময়ন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে ৬টি আসনেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এ দিন স্কুলে মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়েছিলেন সিপিএম প্রভাবিত ৩ প্রার্থী রমাপদ ঘোড়ই, বুদ্ধদেব মাইতি ও বাবুরাম মণ্ডল। তাঁরা থানায় অভিযোগ করেন, মনোনয়ন পত্র নিয়ে স্কুল থেকে বেরোনোর পর স্থানীয় তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় পালের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের মারধর করে ও মনোনয়ন পত্রগুলি ছিঁড়ে ফেলেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত চলছে। সিপিএমের ভগবানপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক সত্যরঞ্জন দাসের অভিযোগ, “হার নিশ্চিত বুঝেই তৃণমূল এ সব করছে। গত কয়েক মাসে আমরা এলাকায় সংগঠন মজবুত করেছি। নির্বাচনে লড়াই করতে না দিলে আমরা আন্দোলনে নামব।” তৃণমূলের মহম্মদপুর-২ অঞ্চল কমিটির সভাপতি দেবোপম প্রধান বলেন, “ঘটনার কথা সত্যি। তবে ওই ঘটনায় জড়িতরা কেউই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নন।” |
পুলিশের উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
দুঃস্থদের শীত বস্ত্র বিতরণ করল ঘাটাল থানা। বুধবার ঘাটাল টাউন হলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) বরুণ চন্দ্রশেখর, মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী, বিধায়ক শঙ্কর দোলই, পুরসভার চেয়ারম্যান জগন্নাথ গোস্বামী, বিডিও দেবব্রত রায়, উপ-পুরপ্রধান উদয়শঙ্কর সিংহরায় প্রমুখ। ঘাটাল থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, থানার ১২টি অঞ্চলের প্রায় ৫০০ জন দুঃস্থ মানুষের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। জনসংযোগ বাড়াতেই এই কর্মসূচি নিয়েছে পুলিশ। |
রাজ্যে প্রথম শুভম
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত রাজ্য স্তরের বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভম দে। প্রতি বছরই শিক্ষা সংসদের উদ্যোগে রাজ্য স্তরের এই প্রতিযোগিতা হয়। সম্প্রতি রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতাটি হয় উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল কর বলেন, “রাজ্যের প্রথম স্থানাধিকারীরা দিল্লিতে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে। শুভমও দিল্লি যাবে।” |
বাজকুলে মিলন মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
সাত দিন ব্যাপী মিলন মেলা ও প্রদর্শনী চলছে বাজকুল কলেজ মাঠে। ১৬-২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলার আয়োজক বাজকুল ইউনাইটেড ফোরাম। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত মেলায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা শিবির। এ ছাড়াও আলোচনা সভা, বস্ত্র বিতরণ ও দুস্থ অথচ মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনোর নানা উপকরণ দিয়ে সাহায্য করা হয় অনুষ্ঠানে। ১৬ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী। |
দিঘায় নন্দিনী মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
সাত দিন ব্যাপী নন্দিনী মেলা শুরু হতে চলেছে দিঘার দিশারি মাঠে। রামনগর-১ ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই মেলা চলবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস জানান, স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য বিপণনের ব্যবস্থা ও দিঘার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যেই গত তিন বছর ধরে দিঘায় নন্দিনী মেলা হচ্ছে। প্রতিদিনই আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। |
সন্দেহজনক, ধৃত ৫
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
সন্দেহজনক গতিবিধির জন্য মঙ্গলবার রাতে পটাশপুর বাজার এলাকা থেকে ৫ জন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা পটাশপুর, ভূপতিনগর, খেজুরি ও কাঁথি থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ৫ জন একটি গাড়িতে করে ঘোরাঘুরি করছিল। গতিবিধিও সন্দেহজনক ছিল। বুধবার ধৃতদের এগরা মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করানো হলে তাঁরা জামিন পান। |
যন্ত্র বেচতে পারবে না এবিজি |
স্পেশ্যাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে হলদিয়া বন্দর থেকে এবিজি তাদের ক্রেন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ভারতের যে-কোনও জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। অন্যত্র ব্যবহারও করতে পারবে। তবে তা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে কিংবা বিক্রি করতে পারবে না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুক্লা কবীরের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দিয়েছে। এ দিনই অন্য মামলায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবিজি-কে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি। নোটিস দেওয়া হয়েছে মাত্র। এই অবস্থায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করছে না। অনুসন্ধানকারী অফিসার সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। এবিজি প্রয়োজনে বন্দরের কাছে তথ্য চাইতে পারে। তা তাদের দিতে হবে। অনুসন্ধানের সময় এবিজি চাইলে আইনজীবীদের কাজে লাগাতে পারবে। ফের শুনানি হবে ৮ জানুয়ারি। |
|