|
|
|
|
হোটেলে অপমৃত্যু, নতুন মোড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দিঘার হোটেলে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা নাটকীয় মোড় নিল।
স্বামী পরিচয়ে হোটেলে ওই তরুণীর সঙ্গে যিনি ছিলেন, পুলিশি জেরায় সেই সনৎ সামন্তের স্বীকারোক্তি, মৃতা তাঁর প্রেমিকা। হোটেলের খাতার ওই তরুণীর নাম লেখা হয়েছিল অপর্ণা সামন্ত। আসলে মৃতার নাম মালবিকা বাগ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মলয়পুর গ্রামের শান্তি বাগের স্ত্রী মালবিকাকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দিঘার হোটেলে উঠেছিলেন খানাকুল থানার বীরকুল গ্রামের সনৎ সামন্ত। সোমবার বিকালে হোটেলের ঘরেই মালবিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দিঘা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সনৎকে থানায় নিয়ে গেলে তিনি মৃতাকে নিজের স্ত্রী অপর্ণা সামন্ত বলে দাবি করেন। দিঘা থানা থেকে এই খবর খানাকুল থানায় জানানো হয়।
কিন্তু খানাকুল থানার পুলিশ বারিকুল গ্রামে গিয়ে দেখতে পায়, সনৎবাবুর স্ত্রী অপর্ণা সামন্ত বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছেন। এরপরই পুলিশকে বিভ্রান্ত করা, হোটেলে মিথ্যা পরিচয় দেওয়া-সহ নানা অভিযোগে সনৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সনৎ স্বীকার করেন, মৃতার নাম মালবিকা বাগ। তাঁর বাড়ি আরামবাগ থানার মলয়পুরে। সেখানে সনতের পিসির বাড়ি। সেই সূত্রে সম্পর্ক তৈরি হলেও পরে দু’জনেরই অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। পরে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ফের।
গত রবিবার সনৎ ব্যবসার কাজে যাওয়ার অজুহাতে দিঘায় আসেন। মালবিকা মামার বাড়ি যাওয়ার নাম করে এসেছিলেন দিঘায়। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন দু’জনে। বিকেলে সনৎ এটিএমে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন মালবিকা। প্রাথমিক তদন্তের পরে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।
|
|
|
|
|
|