|
|
|
|
শহরে বৃদ্ধা খুনে দুই যুবকের যাবজ্জীবন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর শহরে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মেদিনীপুর আদালত। বুধবার এই রায় দেন মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভেন্দু সামন্ত। মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শেখ কাজেম আলি নাবালক হওয়ায় তার বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে। আর শেখ শেরিফ আলি ও শেখ আকবর আলির বিচার চলছিল মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভেন্দু সামন্তের এজলাসে। এই দু’জনকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বুধবার ছিল রায়দান।
ঘটনাটি ঘটে চলতি বছর ১ মার্চ। ওই দিন দুপুরে শহরের জুগনুতলা এলাকার বাসিন্দা গীতা রায়কে (৮৫) খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বাড়িতে লুঠপাটও চালায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা জানতে পারেন গীতাদেবীর ছেলে তরুণ রায়। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে জুগনুতলার ওই বাড়িতে থাকতেন ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষক তরুণবাবু। |
|
পুলিশের ঘেরাটোপে সাজাপ্রাপ্ত দু’জন। —নিজস্ব চিত্র। |
সে দিন বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, দোতলায় ওঠার সিঁড়ির পাশে পড়ে রয়েছেন গীতাদেবী। আশপাশের জিনিসপত্র সব তছনছ। তদন্তে নেমে একটা ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়, যে বা যারাই এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, তারা বাড়িতে ঢোকা এবং বেরোনোর রাস্তা জানত। গীতাদেবী কোন সময় বাড়িতে একা থাকেন, তা-ও তাদের জানা ছিল।
প্রথমে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শেখ কাজেম আলি। তারপর একে একে শেখ শেরিফ আলি ও শেখ আকবর আলিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় খোওয়া যাওয়া মোবাইল, টেলিভিশন ইত্যাদি। ধৃতেরা ওই বাড়িতে রঙ মিস্ত্রির কাজ করেছিল। সেই সূত্রে বাড়ির সব কিছুই ছিল তাদের চেনা। পুলিশের মতে, ধৃতেরা মাদকাসক্ত। মাদক কিনতে টাকা জোগাড়ের জন্যই তারা ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিল। সেই মতো ঘটনার দিন দুপুরে পাঁচিল ডিঙিয়ে গীতাদেবীর বাড়িতে ঢোকে তারা। তারপর বৃদ্ধাকে চেয়ারে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রায় ৭০ হাজার টাকা, দু’টি মোবাইল, টিভি, জুতো নিয়ে পালায়। দুষ্কৃতীদের একজনকে চিনে ফেলায় গীতাদেবীর খুন করার পরিকল্পনা করা হয়। প্রথমে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করা হয়। পরে মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। আগেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বুধবার ছিল রায়দান। এ দিন সরকারপক্ষের আইনজীবী দেবাশিস মাইতি জানান, “খুনের ঘটনায় দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।” |
|
|
|
|
|