|
|
|
|
ফের চার্জগঠন পিছোল দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে ফের চার্জগঠন পিছোল।
বুধবার মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে দাসেরবাঁধ কঙ্কাল কাণ্ড মামলার চার্জগঠন হওয়ার কথা ছিল। মামলার দুই অভিযুক্ত প্রশান্ত ঘোষ ও বিশ্বরূপ ঘোষ অনুপস্থিত থাকায় চার্জগঠন হয়নি। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ১৮ জানুয়ারি।
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ২২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এঁদের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ ১৩ জন জামিনে রয়েছেন। ৮ জন জেল হেফাজতে। সুশান্ত ঘোষের ভাই প্রশান্তবাবু এখনও জেলবন্দি। এ দিন আদালতে পায়ে ব্যাথা এবং অসুস্থতার কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। জামিনে মুক্ত বিশ্বরূপ ঘোষও অসুস্থ বলে আদালতে জানান তাঁর আইনজীবী।
বুধবার সাড়ে ১১টা নাগাদ জামিনে মুক্ত ১১ জন ও জেলবন্দি ৭ জনকে মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুরুতে চার্জগঠনের শুনানি শুরু করার পক্ষে সওয়াল করেন সরকারপক্ষের আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য। পাল্টা সওয়ালে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী রানা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দু’জন অনুপস্থিত। চার্জগঠন হবে কী ভাবে?”
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ১৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন বিচারক। আদালত সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক হয়, আগামী ১১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হবে। বিষয়টি জানতে পেরে সুশান্তবাবু ১১ জানুয়ারি মামলার দিন নির্দিষ্ট না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “বিধানসভার একটি দল উত্তরবঙ্গে যাবে। দলে আমিও থাকব। ৭ থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দলটি উত্তরবঙ্গে থাকবে। তাই ওই সময় দিন নির্দিষ্ট করা হলে আমার আসার সমস্যা হবে।” এরপরই ১৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছিল সিআইডি। তারপর চার্জগঠন হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন কারনে মামলাটি পিছিয়ে যাচ্ছে। মামলার দিনগুলোতে কোনও না কোনও অভিযুক্ত অনুপস্থিত থাকছেন। এ নিয়ে অসন্তোষ গোপন করেননি সরকারপক্ষের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, “দ্রুত মামলার চার্জগঠন হওয়া জরুরি।”
এ দিকে, চিকিৎসার অভাবে এই মামলায় বন্দি কালীদাস চৌধুরীর বাঁ চোখ নষ্ট হতে বসেছে বলে বিচারকের কাছে এ দিন অভিযোগ জানান তাঁর আইনজীবী। কালীদাসবাবু এখন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। বুধবার তাঁর আইনজীবী বিচারক অভিজিৎ সোমের কাছে অভিযোগ করেন, জেল কর্তৃপক্ষ ঠিক মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় কালীদাসবাবুর বাঁ চোখ নষ্ট হতে বসেছে। অভিযুক্ত নিজেও বিচারকের কাছে তাঁর সমস্যার কথা জানান। বিচারক উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
|
|
|
|
|
|