জ্ঞানেশ্বরী মামলায় ইউএপিএতে চার্জগঠন
জ্ঞানেশ্বরী মামলার চার্জগঠন হল মেদিনীপুর আদালতে। এই মামলায় ধৃত ২১ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ ধারায় চার্জগঠন করা হয়েছে। বুধবার মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক পার্থপ্রতিম দাসের এজলাসে মামলার চার্জগঠন হয়। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।
২০১০ সালের ২৭ মে রাতে ঝাড়গ্রামের সর্ডিহা এবং খেমাশুলি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনায় পড়েছিল হাওড়া থেকে মুম্বইগামী জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ট্রেন আসার আগেই রেল লাইনের একাংশ কেটে ফেলা হয়েছিল, খুলে ফেলা হয়েছিল লাইনের ‘প্যানড্রোল ক্লিপ’। ফলে, লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন শতাধিক। তদন্তের ভার পেয়ে ‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটি প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএ ধারায় মামলা শুরু করে সিবিআই। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় মোট ২৩ জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। এঁদের মধ্যে ২১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে জামিন পেয়েছেন শুধু বিমল মাহাতো। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় চার্জগঠন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা। সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থ তপস্বী অবশ্য সেই আপত্তির বিরোধিতা করে জানান, এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
ইউএপিএ ধারায় চার্জশিট পেশ করার আগে রাজ্য সরকারের থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হয়। চার্জশিটের সঙ্গে সেই অনুমতির কপিও আদালতে পেশ করে সিবিআই। ঘটনার আগে ও পরে অভিযুক্তরা মোবাইলে যে কথাবার্তা বলেছেন, তা-ও লিখিত আকারে আদালতে পেশ করা হয়। ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে এই মামলার চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। যে ২১ জন ধরে পড়েছেন, তার মধ্যে হীরালাল মাহাতো নামে এক জন ঘটনার সময় নাবালক ছিলেন। তাঁর বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে। আর জামিনে মুক্ত বিমল মাহাতোর বিরুদ্ধে আইপিসি’র ২১২ ধারায় চার্জগঠন করা হয়েছে। ঘটনার পর তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মনোজ মাহাতো। বাকি ১৯ জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ’র ১৬ এবং ১৮ নম্বর ধারা, আইপিসি’র ১২০ বি, ৩০২, ৩০৭, ৩২৩, ৩২৬ এবং ৪৪০ ধারায় চার্জগঠন করা হয়েছে। সঙ্গে রেলওয়ে অ্যাক্টের (’৮৯) ১৫০ এবং ১৫১ ধারা দু’টিও রয়েছে।
মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক পার্থপ্রতিম দাসের এজলাসে বুধবার চার্জগঠনের দিন ধার্য ছিল। সেই মতো এ দিন দুপুরে জেলবন্দি ১৯ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এসেছিলেন জামিনে মুক্ত বিমলও। তদন্তে সিবিআই অফিসারেরা নিশ্চিত হয়েছিলেন, জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন জনগণের কমিটির নেতা অসিত মাহাতো এবং মাওবাদী নেতা শশধর মাহাতো। এঁদের নামে পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল সিবিআই। যদিও চার্জশিটে অসিত ও শশধরের নাম ছিল না। ইতিমধ্যে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে শশধরের মৃত্যু হয়েছে। অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে অসিত রয়েছেন জেল হেফাজতে। কেন চার্জশিটে অসিতের নাম নেই? সিবিআইয়ের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “তদন্তে বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু তাঁদের সকলের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করলে, পরবর্তীকালে গ্রেফতারের পর নিজেদের হেফাজতে নিতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাই চার্জশিটে সকলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.