শীলার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা
বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল সংসদ থেকে রাজপথে। রবিবার রাতে চলন্ত বাসের মধ্যে তরুণীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে আজ দিনভর প্রতিবাদের সাক্ষী রইল রাজধানী দিল্লি।
মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাড়ির সামনে এ দিন বিক্ষোভ দেখান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ছাত্রছাত্রী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও। খাস রাজধানীর বুকে একের পর এক এ রকম ঘটনার পরও মুখ্যমন্ত্রী কড়া হচ্ছেন না কেন, এই প্রশ্ন তুলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। দোষী ছ’জনেরই কড়া শাস্তির দাবি করতে করতে হঠাৎই তাঁরা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগোতে শুরু করলে নিমেষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত জলকামান ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পায়নি দিল্লি পুলিশের সদর দফতরও।

দিল্লিতে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দুই তরুণী।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাড়ির সামনে। ছবি: রয়টার্স
এ দিন যন্তর মন্তরে প্রতিবাদে সামিল হন বিজেপি নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, দেশের রাজধানীতেই যদি মেয়েরা এতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তা হলে অন্য জায়গায় কী অবস্থা! পূর্ব দিল্লি পুরসভার মেয়র অন্নপূর্ণা মিশ্রর অভিযোগ, দিল্লিতে ধর্ষণ এই প্রথম নয়। সরকার আগেই জানিয়েছিল, এই মামলার বিচার হবে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে। কিন্তু এ নিয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের অপসারণের দাবিও তোলেন বিজেপি নেতারা। যন্তর-মন্তর থেকে তাঁরা সংসদ ভবনের দিকে এগোতে শুরু করলে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানার সামনেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। দোষীদের শাস্তি চেয়ে কালই সংসদে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া বচ্চন। দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমারের সঙ্গে আজ দেখা করে ফের সেই আর্জি জানান তিনি। মহিলা সাংসদদের এক প্রতিনিধি দলও আজ দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোষীরা যাতে ছাড়া না পায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দিনভর বিক্ষোভের রেশ কাটেনি সন্ধেতেও। দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিকেল ৫টা থেকে জড়ো হতে শুরু করেন প্রচুর মানুষ। সময় যতো গড়িয়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়। দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়ে কারও হাতে প্ল্যাকার্ড। কেউ বা নিয়ে এসেছেন মোমবাতি। মুহুর্মূহু স্লোগানে ফেটে পড়ছে ভিড়টা। এমন সময়ই প্রায় দু’শো জন মানুষ ভিড় ঠেলে এগোতে থাকেন কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মোড়া রাইসিনা হিলসের দিকে। এখানেই আছে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, স্বরাষ্ট্র-প্রতিরক্ষা-বিদেশ মন্ত্রকের দফতর। সাউথ-ব্লকের সামনে পৌঁছেও যান বিক্ষোভকারীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে গোটা রাইসিনা হিলস চত্বর বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। শুধু দিল্লিই নয়, বিচার চেয়ে বিক্ষোভ হয়েছে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতাতেও।
গণধর্ষণ-কাণ্ডে দেশ যখন উত্তাল, তারই মধ্যে নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। মহিলা ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী কৃষ্ণা তিরথ জানান, বয়ঃসন্ধিতে শিশুদের মনের বিকাশ যাতে ঠিক হয়,তা নিয়ে এক প্রকল্পের কথা চিন্তা করা হচ্ছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.