অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে খুনের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম ভোঁদা সাঁতরা। বাড়ি মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ক্ষীরগ্রামের মা যোগ্যদা বাণী বিদ্যাপীঠের ছাত্রী সুমিত্রা মণ্ডলের (পুলিশের খাতায় তার নাম আলো)। পর দিন সকালে বাড়ির কাছেই ক্ষীরদিঘির পূর্ব পাড় থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতার বাবা বংশীধর মণ্ডল মঙ্গলকোটের কৈচর ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। সে দিনই গ্রামের যুবক ভোঁদা সাঁতরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। এ কথা জানার পরেই ভোঁদাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের দাবি, মৃতার ভাগ্নী, কানাইডাঙা গ্রামের লিপি মিদ্যা তাদের জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ এক যুবক আলোকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পরে পুলিশকে ভোঁদাকে দেখিয়ে দেয় লিপি। পুলিশের অনুমান, পড়শি যুবক ভোঁদা ডাকায় আলো বাড়ি থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যায় তার সঙ্গে দেখা করে। তাকে দিঘির পাড়ে নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় ওই যুবক। আলো সকলকে সে কথা জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে প্রথমে ভোঁদা তাকে মারধর করে। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে দিঘির পাড়ে ফেলে আসে।
বুধবার ভোঁদাকে কাটোয়া আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী কল্যাণ রায় জানান, ধৃতকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ওই কিশোরীর বাড়ি যান মঙ্গলকোটের সিপিএম বিধায়ক শাহজাহান চৌধুরী ও সিপিএমের জোনাল সম্পাদক দুর্যোধন সর। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবিতে ও মহকুমায় নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মহকুমাশাসক আর অর্জুনকে স্মারকলিপি দেয় সিপিএমের গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। |