নামেই জেলা হাসপাতাল। পরিকাঠামোর অভাব সুস্পষ্ট চারিদিকে। তার উপরে বেসরকারি নার্সিংহোম ও ওষুধ দোকানের সঙ্গে একশ্রেণির চিকিৎসকদের অশুভ আঁতাতে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা। সোমবার সকালে আচমকাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের সহ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা জে এন চাকি।
তমলুক জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ পরিদর্শনে যান ওই অধিকর্তা। খোঁজ খবর করেন সদ্যোজাত শিশুদের চিকিৎসা বিষয়ে। খোদ কর্তাকে নাগালে পেয়ে তখনই প্রসূতি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন যে হাসপাতালে অধিকাংশ সময়েই ওষুধ পাওয়া যায় না। ফলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। একাধিক প্রসূতির পরিবারের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতারও প্রমাণ পান ওই অধিকর্তা। এরপরই যে সমস্ত চিকিৎসক বাইরে থেকে ওষুধ কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁদের চিহ্নিত করে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাসপাতালের সুপারকে। এমনকী ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলেন।
এ দিন সহ-স্বাস্থ্য অধিকর্তা জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার, সদ্য চালু হওয়া এসএনসিইউ পরিদর্শন করেন। জানান, প্রসূতি বিভাগ সম্প্রসারণের জন্য রাজ্যের যে সমস্ত হাসপাতালকে বাছা হয়েছে তাঁর মধ্যে এই জেলা হাসপাতাল রয়েছে। তবে হাসপাতালের পরিকাঠামোর অভাব বিশেষত প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের ৩০ দিন পর্যম্ত বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দেখলাম রোগীদের কিছু ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওষুধের অর্ডার দেওয়ায় যেমন ঘাটতি রয়েছে, তেমনি কিছু চিকিৎসক নিয়মিত বাইরে থেকে ওষুধ কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি এই সমস্ত চিকিৎসকদের চিহ্নিত করে তালিকা জমা দিতে। এঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |