পুরানো নকশা নেই। নতুন করে নকশাও জমা দেওয়া হয়নি। শুধু মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের দেওয়া অনুমতিপত্রের ভিত্তিতে শিলিগুড়ির শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় বাণিজ্যিক ভবন তৈরি হচ্ছে বলে জানালেন নির্মাতারা। সোমবার নির্মাতা ট্রাস্টের পক্ষে মতিলাল গুপ্ত ও ওমপ্রকাশ অগ্রবাল একযোগে জানান, তাঁরা ওই বাণিজ্যিক ভবন থেকে যা আয় হবে তা দিয়ে একটি মহিলা কলেজ তৈরি করতে চান। সে কথা জানানোর পরে মেয়র তাঁদের ওই বাণিজ্যিক ভবন তৈরির অনুমতি দিয়েছেন বলে তাঁদের দাবি। কিন্তু, ন্যূনতম নকশা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারতলা ভবনে মার্কেটিং কমপ্লেক্স করার অনুমতি দেওয়া পুরবিধি অনুযায়ী পুরোপুরি বেআইনি। তা হলে মেয়র কোন স্বার্থে ওই বেআইনি কাজের অনুমতি দিলেন? কেনই বা নির্মাতা সংস্থা বেআইনি কাজ করেও তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে পারছেন সেই প্রশ্নে শহরে চলছে নানা জল্পনা। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির একাধিক নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিষয়টি রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসার, ইঞ্জিনিয়রদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়েছে। রাজ্য পুর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওয়ালির ছুটির পরেই পুর দফতরের তরফে শিলিগুড়ি পুরসভায় বেআইনি বিল্ডিং নির্মাণ রুখতে অফিসার-ইঞ্জিনিয়রদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুরসভার মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বিষয়টি জানতে পেরে নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ হয়নি। এখন নির্মাতা সংস্থা প্রকাশ্যে মেয়র পারিষদের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে দেওয়ায় বিল্ডিং বিভাগে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মেয়র নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেও এদিন বিকেল পর্যন্ত সেখানে নির্মাণ চলেছে বলে শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রের খবর। মেয়র বলেন, “আগে ওই ভবনে একটি স্কুল ছিল। এখন সেটি মার্কেট কমপ্লেক্স হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নকশা থাকা বাধ্যতামূলক। পুরনো বিল্ডিং হিসাবে তা না থাকলে নিয়ম মেনে তা এখন তৈরি করতে হবে। তার আগে কোনও রকম নির্মাণ কাজ ওই ভবনে করা যাবে না বলে এ দিনই নোটিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে ওই ভবনে সমস্ত রকম নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।” |