আলোয় অচেনা ময়নাগুড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
দীপাবলি উৎসবের দু’দিন আগে থেকে আলোর বন্যায় ভাসতে শুরু করল ময়নাগুড়ি। রাতের কালো ক্যানভাসে উঠে আসা স্পাইডার ম্যান, ব্যাট ম্যান, বাটুল, নন্টে-ফন্টে, অরণ্যদেবরা দখল নিল ডুয়ার্সের ওই প্রাচীন জনপদ। পাল্টে গেল চেনা শহরে মুখ। রবিবার বিকেলের পরে মহড়া শুরু হতে ময়নাগুড়ির কোনও প্রান্তে জেগে উঠল কাশ্মীরের ডাল লেক। রাত বাড়তে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন ছুটল। আলো-ধ্বনির মায়াবী খেলা পিছিয়ে নিয়ে গেল কবিগুরুর সময়কালে পদ্মাপাড়ে বক্সিগঞ্জে। বাহারি আলোয় ভেসে উঠল একের পর এক চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ। তোরণে ভরা রাস্তা। যেন আলোর স্রোত বইছে। পাল্টে যাওয়া শহরের দৃশ্য উপভোগ করতে বাসিন্দারা রাস্তায় নামলেন। সোমবার ভিড় আরও বেড়ে যায়। বুধবার থেকে হেঁটে মণ্ডপ দেখা সম্ভব হবে না ওই আশঙ্কায় এ দিন রাতে হাল্কা শীতে পরিবার নিয়ে অনেকে রাস্তায় হাঁটলেন। প্রাণ ভরে উপভোগ করলেন আলোর খেলা। সুভাষনগর সর্বজনীন কালীপুজো কমিটির পৌরাণিক মন্দিরের আদলে তৈরি বিরাট মণ্ডপে রয়েছে সবুজ পরিবেশ রক্ষার শপথ। এখান থেকে একের পর এক আলোর তোরণ ছেড়ে মিলপাড়ায় আয়োজিত জাগরণী ক্লাবের মণ্ডপ। এখানে দেখা মিলবে স্পাইডার ম্যানের। বহুতল বাড়ি বেয়ে উঠছে সে। শুধু আলো নয়। মণ্ডপে বাঁশের কাজ আবাক করবে। ওই পুজোর পরে রয়েছে উজ্জ্বলা-র বাঁশ ও বেতের কারুকাজ করা মণ্ডপ। এর পরে সার্ক রোড ধরে এগিয়ে গেলে সাগরদ্বীপ ক্লাবের মণ্ডপে দেখা যাবে টয় ট্রেন। সেখান থেকে পার্ক রোড। মাতৃ সঙ্ঘের পুজো। মনে হবে কাশ্মীরের ডাল লেকের ধারে দাঁড়িয়ে। মালবাজার রোডে ময়নামাপাড়া ইয়ুথ ক্লাবের পুজোয় কবিগুরুর কুমোরপাড়ার বংশীবদন তাঁর ভাগ্নে মদনকে হাটে যেতে ব্যস্ত। ছবিতে নয়, জীবন্ত। কলকাতার শিল্পী স্বপন পাল ১৫ জন জীবন্ত পুতুল নিয়ে তৈরি করেছেন ওই হাট। পার্ক রোডে অগ্রদূতের পুজো মণ্ডপ ফেস বুকের আদলে তৈরি। থালা, বাটির প্রতিমা দেখে অবাক হতে হবে।
|
দুই যুবকের দেহ মিলল নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির চুটকিয়াভিটায়। মৃতদের নাম আব্দুল হোসেন (২৩) ও সঞ্জিত দাস (২৪)।
|
রাক্ষসের মুখ দিয়ে হায় ঢুকতে গা ছমছম করবে। ভেসে আসবে ঝিঝি পোকা সহ নানা পশু পাখির শব্দ। শামুকতলা দেশবন্ধু ক্লাবের মণ্ডপে এ ঘটনা দেখা যাবে। |