মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে। সোমবার সেই জল্পনা অনেকটাই উসকে দিয়েছেন হুমায়ুন। এ দিন দুপুরে তিনি মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিয়ে হুমায়ুন পরে বলেন, “দেহরক্ষী দেওয়ার আর্জি জানাতে আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বলেছেন।” শেষ পর্যন্ত তিনি কী করবেন তা স্পষ্ট করে বলেননি হুমায়ুন।
রবিবারও হুমায়ুন পলাশিতে রেলের এক অনুষ্ঠানে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এমনকী, তিনি অধীরের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা জানিয়ে বক্তৃতাও দেন। |
কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হুমায়ুনের সটান মহাকরণে চলে আসায় জেলা কংগ্রেসের অনেক নেতাই বিস্মিত। তবে হুমায়ুন এ দিন রাতে জানান, অধীরের সঙ্গে কথা বলে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জানিয়ে হুমায়ুন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমায় বলেছেন আগামী ২১নভেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হবে। তার আগেই আমি যেন আমার সিদ্দান্ত জানাই।” তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ইঙ্গিত দিয়েছেন দল ছাড়লে হুমায়ুনের স্থান হতে পারে মন্ত্রিসভায়।
শুধু হুমায়ুনই নয়, জেলার আরও কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে আসতে পারেন বলে এ দিন সাগরদিঘিতে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। তিনি বলেন, “জেলার কংগ্রেস বিধায়কদের অনেকের সঙ্গেই আমাদের কথাবার্তা চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই তাঁরা দলত্যাগ করে আমাদের দলে যোগ দিতে পারেন।” |