শিল্পের পক্ষে সওয়াল করে আসরে বিজেপি-ও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের অগ্রগতির স্বার্থে শিল্পায়ন জরুরি, এই বার্তা নিয়ে জনতার দরবারে যাচ্ছে বিজেপি-ও। রাজ্য জুড়ে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সম্প্রতি জঙ্গিপুর লোকসভা উপনির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির হার বাড়ায় বাড়তি মনোবল পেয়েছে তারা। পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে প্রচারের তীব্রতা বাড়াতে চাইছে তারা। এবং সেই লক্ষ্যে তাদের হাতিয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় রাজ্যে শিল্পের বেহাল দশা। তৃণমূলের রাজত্বে পরিবর্তনের চেহারা টের পাচ্ছেন মানুষ! সিপিএমের প্রতিও আস্থা ফেরেনি। এ অবস্থায় রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি-হওয়া শূন্য পরিসরের দখল নিতে চাইছেন বিজেপি। সাম্প্রতিক নানা কর্মসূচি এবং ভোটের ফলাফলে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেও তাঁদের দাবি। ভোটের মরসুমের আগে এ রাজ্যের মানুষের কাছে বিকল্প হিসাবে তুলে ধরতে শিল্পায়নের দাবি পেশ করছেন তাঁরা। দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ সদ্য উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েও বিপুল সাড়া পেয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই বিজেপি এই বার্তাই দিতে চাইছে যে, বিরোধী হলেও তারা শিল্পায়নের বিরোধী নয়। রাহুলবাবুর কথায়, “শিল্পের পথে হেঁটেই গুজরাতে মোদী বা মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি সরকার সফল। আমরা রাজ্যে এই কথাই বলতে চাইছি, শিল্প ছাড়া গতি নেই। কর্মহীনতা বাড়ছে বলেই আইনশৃঙ্খলার সমস্যাও বাড়ছে।” বিজেপির বক্তব্য, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের মতো আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ জমি অধিগ্রহণের তাঁরা বিরোধী। কিন্তু শিল্প আটকে রাখারও পক্ষপাতী নন তাঁরা। রাহুলের বক্তব্য, “এর মানে এই নয় যে, কৃষকদের কথা ভাবছি না। কিন্তু ঘটনা হল, কৃষি আর লাভজনক নয়। জমি থেকে আয় হচ্ছে না বলে কৃষক পরিবার অন্য জীবিকার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু এই সরকার কৃষকদেরও মারবে, শিল্পও হতে দেবে না!” বিকল্প হিসাবে নিজেদের তুলে ধরতে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাহুলবাবুরা।
|
ভোটার তালিকা নিয়ে সরব বামেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রকৃত ভোটারদের নাম যাতে ভোটার তালিকায় না ওঠে তার জন্য কোনও কোনও মহল থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) সুনীল গুপ্তের কাছে অভিযোগ জানাল বামফ্রন্ট। সিপিএম নেতা রবীন দেবের নেতৃত্বে সোমবার বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধি দল সিইও-র সঙ্গে দেখা করেন। বাম নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে, ভোটার তালিকায় সংশোধনের কাজে শুনানির কোনও প্রয়োজন নেই। কেউ যাতে শুনানিতে না যান, তার জন্য কিছু জায়গায় হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান রবীনবাবু। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে আধিকারিকদের একাংশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা লঙ্ঘনের চেষ্টা করছেন বলেও তাঁর অভিযোগ। যে সব ব্যক্তি কর্মসূত্রে বা পড়াশুনার জন্য এলাকায় নেই বা যাঁরা রাজনৈতিক কারণে এলাকা-ছাড়া ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম সুনিশ্চিত করার দাবিও জানায় বামেরা। |
শিল্পপতিদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত পার্থ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ৫৫০ জন। হাজির ছিলেন ৪৬৫ জন। গত শুক্রবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শিল্পপতিদের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিতির এই হারে উচ্ছ্বসিত শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার মন্তব্য করেন, “গ্র্যান্ড সাকসেস।” শুক্রবারের সেই অনুষ্ঠানে কী আলোচনা হয়েছিল, তা নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি পার্থবাবু। মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাড়ে চারশোর বেশি বিনিয়োগকারী এক ছাদের নীচে কয়েক ঘণ্টা কাটানোর পরে রাজ্যে শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা আশাবাদী তাঁরা, তা-ও খোলসা করেননি তিনি। শুধু উপস্থিতির হার দেখেই দারুণ খুশি তিনি। তাঁর দাবি, যাঁরা আসেননি, তাঁরা কলকাতার বাইরে ছিলেন বলে তাঁকে জানিয়েছেন। শিল্পমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, নতুন সরকারের আমলে রাজ্যে ২২২টি শিল্পপ্রস্তাব এসেছে। বিনিয়োগের পরিমাণ ১ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। কাজ পাবেন ৩ লক্ষের বেশি মানুষ। প্রস্তাব এলেও প্রকল্পগুলি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি শিল্পমন্ত্রী।
|
পেঁয়াজের দাম ঊধ্বর্মুখী। সমস্যা মেটাতে রাজ্যে পেঁয়াজের চাষ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সব্জির দরে নজরদারির জন্য গড়া টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ছিল সোমবার। মুখ্যমন্ত্রী পেঁয়াজের দাম বাড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পেঁয়াজের জন্য এ রাজ্য ভিন্ রাজ্যের উপর অনেক নির্ভরশীল। |
হিন্দিভাষীদের জন্য ছট পুজোর দিন ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। যাঁরা ছট পালন করেন, কেবল তাঁদের জন্যই ১৯ নভেম্বর ছুটি। মুখ্যসচিব এ দিন বলেন, “বুদ্ধজয়ন্তী পালন করেন যাঁরা, তাঁরাও আগামী বছর থেকে ছুটি পাবেন।” |