|
|
|
|
ভরসা ফিরছে, পুলিশকে সংবর্ধনা হাবরায় |
অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য • কলকাতা |
পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরছে। অন্তত হাবরার মানুষের কাছে তো বটেই। পুলিশ কর্তাকে মঞ্চে ডেকে সংবর্ধনাও জানাচ্ছেন তাঁরা।
উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, গত সাত মাস ধরে বেআইনি মদ-সাট্টা-গাঁজা বিক্রি বন্ধ। মাতালদের দাপটও বিরল। পরিবেশ বদলে যাওয়ার কৃতিত্বটুকু পুলিশকে দিতে কুন্ঠা নেই তাঁদের। যে পুলিশকে দেখলেই এক সময়ে খাটো স্বরে কটূক্তি ছুড়ত জনতা, আজ অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান-মঞ্চে ডেকে সেই পুলিশকেই সংবর্ধিত করছেন তাঁরা। রবিবার হাবরার ‘কলতান’ মঞ্চে দাঁড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার এই ‘কৃতিত্ব’ মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন হাবরার আইসি অনিল রায়।
কয়েক মাস আগেই মদ
খাওয়ার টাকা দিতে না পারায় হাবরা স্টেশনে চা দোকানি এক কিশোরকে মেরে হাসপাতালে পাঠায় দুষ্কৃতীরা। ছেলেটির মাধ্যমিক দেওয়া বন্ধ হয়। প্ল্যাটফর্মের বাইরের দৃশ্যটা ছিল আরও ভয়াবহ। এক দিকে সাট্টা, জুয়ার আসর চলছে। অন্য দিকে, দেদার বিক্রি
হচ্ছে চোলাই থেকে শুরু করে বেআইনি বিদেশি মদ। সেই হাবরারই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এর আগে বরাহনগর এলাকাতেও এই ভাবে অপরাধ দমন করেছিলেন অনিলবাবু। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “বারাসত-হাবরায় অপরাধ দমনের সঙ্গে পুলিশে আস্থা ফিরছে, এটাই বড় কথা।”
কিন্তু কী ভাবে হল এই পরিবর্তন? হাবরার পুলিশ মহল জানাচ্ছে, এক দিকে দাগী অপরাধীদের ধরে জেলে পোরা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে এলাকায় টহল। জনসংযোগও আন্তরিক ভাবে সামলানো হচ্ছে। আস্থা ফেরাতে সভা করছে পুলিশ। আইসি থেকে কনস্টেবলদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে এলাকাবাসীকে। পাড়ায় পাড়ায় তৈরি হয়েছে আরজি পার্টি। পালা করে রাত-পাহারা দেন
পাড়ার বেকার যুবক থেকে ব্যবসায়ী, ব্যাঙ্ক অফিসার, শিক্ষক। স্থানীয় শিক্ষিকা শিল্পী দাসের কথায়, “রাত হলেই মদ্যপদের দাপাদাপি দেখা যেত। এখন পুলিশের ভয়ে সব কেঁচো হয়ে গিয়েছে।” |
|
|
|
|
|