ক্রেনহীন জাহাজ নিয়ে এ বার নয়া সমস্যা হলদিয়ায়
বিজি চলে যাওয়ার পরে ক্রেনহীন জাহাজ কী ভাবে হলদিয়া বন্দরে ঢুকবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কলকাতা বন্দর-কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ বার ভাসমান ক্রেন দিয়ে মাঝসমুদ্রে ক্রেনবিহীন জাহাজ থেকে মাল খালাসের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া ১২-১৩ নম্বর বার্থেও ওই জাহাজ নোঙর করা যাবে।
এবিজি-র ২ এবং ৮ নম্বর বার্থে মোবাইল হারবার ক্রেন থাকায় ক্রেনবিহীন জাহাজ সহজেই আসতে পারত। এবিজি চলে যাওয়ার পরে এখন একমাত্র ১২-১৩ নম্বর বার্থে ক্রেনহীন জাহাজের মাল খালাস করা যায়। এতে বন্দরে ক্রেনহীন জাহাজ আসা যে কমে যাবে সেটাই বন্দর-কর্তৃপক্ষকে ভাবাচ্ছে। এখন বেশি মাল বহন করার জন্য কোনও জাহাজই সহজে ক্রেন ব্যবহার করে না। সব বন্দরেই সেই মতো মোবাইল হারবার ক্রেন রয়েছে। হলদিয়ায় মাত্র চারটি বার্থে এই ব্যবস্থা ছিল। এবিজি চলে যাওয়ার পরে হাতে থাকল মাত্র দু’টি।
এ অবস্থায় কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, তার উপায় খুঁজে বের করতে সোমবার বন্দর ব্যবহারকারীদের বৈঠকে ডেকেছিলেন বন্দর-কর্তৃপক্ষ। সেখানেই ভাসমান ক্রেন দিয়ে মাঝসমুদ্রে মাল খালাসের প্রস্তাব উঠেছে। হলদিয়া বন্দরে ঠিক কত ক্রেনবিহীন জাহাজ আসে তার হিসাব কষতে শুরু করেছেন বন্দর-কর্তৃপক্ষ। ক্রেনহীন কত জাহাজ হলদিয়া বন্দরে আসছে, এক মাসের মধ্যে তার তালিকা জমা দেওয়ার জন্য বন্দর ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান মণীশ জৈন। তিনি বলেন, “১২-১৩ নম্বর বার্থে ক্রেনহীন জাহাজ নোঙর করছে। ইতিমধ্যেই নেপালে পণ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা একটি জাহাজ ওই বার্থে নোঙর করেছে। সমুদ্র মোহনায় ভাসমান ক্রেন আনা হচ্ছে কলম্বো থেকে। তা কাজ শুরু করতে মাস খানেকের বেশি সময় লাগবে।”
বন্দর সূত্রের খবর, এবিজি চলে যাওয়ার পর ক্রেনহীন জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এখন যে পরিমাণ কয়লা ও ধাতব-চূর্ণ পণ্য হলদিয়ায় আসে তার অধিকাংশই বহন করে ক্রেনহীন জাহাজ। এই অবস্থায় ভাসমান ক্রেন পাওয়া গেলে তুলনায় অনেক বেশি জাহাজের মাল দ্রুত খালাস করা যাবে বলে মনে করেন বন্দর-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দেশের কোথাও এই ধরনের ক্রেন পাওয়া যাচ্ছে না। বিশাখাপত্তনমে এমন কয়েকটি ক্রেন থাকলেও তারা হলদিয়ায় এখনই আসতে পারবে না। তাই শ্রীলঙ্কা থেকে একটি ভাসমান ক্রেন আনার ব্যবস্থা করছে বন্দর।
হলদিয়া বন্দরের সমস্যার জন্য এনটিপিসি তাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে বিকল্প প্রস্তাব রূপায়ণে নেমে পড়েছে। এনটিপিসি স্যান্ডহেডে বড় জাহাজ এনে, পণ্য নামিয়ে, ছোট ছোট বার্জে হুগলি নদী দিয়ে তা ফরাক্কা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। হলদিয়া বন্দরকে এড়িয়ে যাওয়াই লক্ষ্য তাদের। শুধু স্যান্ডহেডে পণ্য নামাতে তারা বন্দরকে প্রতি টনে ১৫ টাকা চার্জ দেওয়ার বন্দোবস্ত করে নিয়েছে। ইতিমধ্যে একটি সংস্থাকে এনটিপিসি বরাতও দিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.