|
|
|
|
বেআইনি ভাবে আলু বিক্রি, ধৃত হিমঘর মালিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া |
বেআইনি ভাবে চাষিদের আলু বিক্রি এবং তাঁদের টাকা না মেটানোর অভিযোগ একটি হিমঘরের লিজ নেওয়া এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বৈঁচিতে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মনসুর আলি। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হিমঘরটিতে চাষিদের ৩২ হাজার প্যাকেট আলু রাখা ছিল। গত ৯ তারিখে আলু বের করতে গিয়ে চাষিরা জানতে পারেন, তাঁদের অন্তত ২২ হাজার প্যাকেট আলু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ওই পরিমাণ আলুর মূল্য প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা। ওই কথা চাউর হতেই চাষিদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়। হিমঘরের মালিক এবং ওই ব্যবসায়ীর কাছে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে জবাবদিহি চান। চাষিদের দাবি, সেই সময় ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছিলেন, আলু বিক্রি বাবদ টাকা চাষিদের মিটিয়ে দেওয়া হবে। ওই হিমঘরে আলু রেখেছিলেন মকবুল আলম নামে এক চাষি। তিনি বলেন, “প্রথমে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেও পরে নানা টালবাহানা করতে থাকেন।” |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বৈঁচি মোড়ে জিটি রোড অবরোধ করেন চাষিরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শেষ পর্যন্ত বিডিও-র আশ্বাসে ঘণ্টা দু’য়েক পরে অবরোধ ওঠে। এর পরেই মনসুরের বিরুদ্ধে পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চাষিরা। সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। জেরায় পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, হিমঘরের অবস্থা ভাল নয়। কর্মীদের বেতন দিতে পারছিলেন না। তাই চাষিদের আলু বিক্রি করে দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বিল না মেটানোয় বিদ্যুৎ দফতর মাস খানেক আগে ওই হিমঘরের বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেয়। তার পর থেকে জেনারেটরের সাহায্যেই কাজ চলছে। চাষিরা অবশ্য ওই ব্যবসায়ীর কথা মানতে নারাজ। তাঁরা অবিলম্বে টাকা ফেরত চান। সরকারি হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। পাণ্ডুয়ার বিডিও নবনীপা সেনগুপ্ত বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। কৃষি বিপণন দফতরকেও জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|