|
|
|
|
ট্রাক ছিনতাইয়ের এক মাস পরে ধৃত মূল অভিযুক্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এক সংস্থার লোহার রড বোঝাই ট্রাক-সহ রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছিলেন ট্রাকের চালক, খালাসি এবং সংস্থারই এক কর্মী।
তদন্তে নেমে মাসখানেক পর ট্রাকচালক ভিকি সিংহ ও খালাসিকে রোশন মাহাতোকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে দু’জনেই স্বীকার করেছে যে তাঁরাই ওই সংস্থার কর্মী গণেশ চক্রবর্তীকে গলা কেটে খুন করে রড সমেত ট্রাক বর্ধমানের পানাগড়ে বিক্রি করেছে।
রবিবার রাতে পুলিশ ওই চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার আলমপুরে।
জাতীয় সড়ক থেকে চালক বা খালাসিকে খুন করে ট্রাক ছিনতাই নতুন কোনও ঘটনা নয়। দিন কয়েক আগেই কলকাতার একবালপুর এলাকায় খোদ ট্রাক মালিককে খুন করে ট্রাক নিয়ে পালিয়েছিল চালক ও খালাসি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ৪ অক্টোবর এক রড সংস্থা থেকে ১৪ টন রড বোঝাই ট্রাক নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে সরবরাহ দেওয়ার জন্য রওনা দেন ওই সংস্থার কর্মী গণেশ চক্রবর্তী। পুলিশ জানায়, যে দিন রওনা হয়েছিলেন তার পরের দিন থেকেই চালক, খালাসি ও গণেশবাবুর খোঁজ মিলছিল না। বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। গণেশবাবুর মোবাইলও সুইচড অফ হয়ে যায়।
এর পরেই সংস্থার পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে রবিবার রাতে শিবপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ভিকি ও রোশনকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় রবি কাহার ও আসীম খান নামে আরও দু’জনকে। ট্রাকটি উদ্ধার হয় বাঁকুড়া রেলস্টেশনের কাছে।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছে তারা গণেশবাবুর গলা কেটে খুন করে হুগলির পোলবার কাছে একটি নদীতে দেহটি ফেলে রেখে দেয়। এর পরে রড-সহ সেই ট্রাকটিও বিক্রি করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটির সন্ধান মিললেও সোমবার পর্যন্ত গণেশবাবুর দেহ উদ্ধার করা যায়নি। গোটা ঘটনা নিয়ে ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়েছে।
পুলিশের দাবি, এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কে একের পর ট্রাক ছিনতাইয়ের পিছনে মূল মাথা হিসেবে কাজ করছেন শালিমারের এক পরিবহণ ব্যবসায়ী। তাঁর নেতৃত্বেই একটি ট্রাক ছিনতাই চক্র গজিয়ে উঠেছে শালিমারে।
শালিমারের ওই ব্যবসায়ীর খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|