|
|
|
|
টুজি-র ৪৫ শতাংশই নিলাম হল না |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
আদালতের নির্দেশে বাতিল হওয়া টুজি স্পেকট্রাম নিলামের গোড়াতেই ধাক্কা খেল কেন্দ্র। বরাদ্দ স্পেকট্রামের প্রায় ৪৫ শতাংশের নিলাম হল না প্রথম দিনে। দিল্লি, মুম্বই, রাজস্থান ও কর্নাটক সার্কেলে স্পেকট্রামের লাইসেন্স হাতে নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাল না কোনও সংস্থাই। সব মিলিয়ে এই নিলাম থেকে ন্যূনতম ২৮ হাজার কোটি টাকা আয়ের যে আশা কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক করেছিল, তার ধারেকাছেও সোমবার পৌঁছতে পারেনি তারা।
অনিয়মের অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের ২২টি সার্কেলের ১২২টি টুজি লাইসেন্স বাতিল ও তা ফের নিলামের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সাতটি রাউন্ডে নিলাম পর্ব চলে। টেলিকম সচিব আর চন্দ্রশেখর পরে জানান, মোট ১৭৬টি ব্লকের স্পেকট্রামের মধ্যে ৯৮টি ব্লকের জন্য দরপত্র এসেছে। যার মোট মূল্য ৯২০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। তবে গোটা দেশের সব ক’টি সার্কেলের জন্য দরপত্র দেয়নি কোনও সংস্থাই। আগামী কাল, বুধবার বাকি স্পেকট্রামের ফের নিলাম হওয়ার কথা। যদিও তাতে ছবিটা খুব একটা বদলাবে না বলেই মনে করছে টেলিকম শিল্প।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ১৮০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের (জিএসএম পরিষেবা) স্পেকট্রামের পাঁচ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রামের নিলামে এ দিন ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া সেলুলার, টেলিনর ও ভিডিওকন অংশ নিয়েছে। তবে কোন সংস্থা কোন সার্কেলের জন্য দর দিয়েছে, তা এ দিন স্পষ্ট নয়। কেন্দ্র এ নিয়ে মুখ খোলেনি। টেলিকম শিল্পমহল সূত্রের খবর, নিলাম পর্ব শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তা স্পষ্ট হবে না। তবে টাটা টেলিসার্ভিসেস ও ভিডিওকন আগে আগ্রহ প্রকাশ করেও শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে সরে যাওয়ায় সিডিএমএ পরিষেবার স্পেকট্রামের (৯০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ড) নিলাম হয়নি।
এর আগে নিলামে স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর ১৪ হাজার কোটি টাকায় বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র। এই দর অত্যন্ত চড়া ও ব্যবয়াসিক ভাবে আদৌ লাভজনক নয় বলে টেলি-সংস্থাগুলি সে ভাবে আগ্রহী হবে না বলে আগেই কেন্দ্রকে সতর্ক করেছিল সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (সিওএআই)। এ দিনও সিওএআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল রাজন এস ম্যাথুজ বলেন, “আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হল। এর ফলে গ্রাহকদেরও সমস্যায় পড়তে হবে। কারণ চড়া দর বলে সংস্থাগুলির হাতে বেশি স্পেকট্রাম না-থাকলে টেলি-পরিষেবার মানও খারাপ হতে পারে।’’ পাশাপাশি স্পেকট্রামের চড়া দরের জন্য গ্রাহক মাসুল বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। কোনও সংস্থা যদি তাদের বর্তমান পরিষেবা সার্কেল বা এলাকার (যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে) জন্য নিলামে অংশ নিয়ে না-থাকে, তা হলে তাদের গ্রাহকদের কী হবে? ম্যাথুজের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ওই এলাকায় আর পরিষেবা দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। ফলে তাদের গ্রাহকদের ‘মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি’-র মাধ্যমে সেখানকার অন্য সংস্থার গ্রাহক হতে হবে। তবে নিলাম পর্ব শেষ হওয়ার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানান তিনি। |
|
|
|
|
|