এয়ারপোর্টে অপহরণ, গলসিতে গ্রেফতার ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান ও কলকাতা |
গাড়ি ধাওয়া করে বর্ধমানের গলসি থেকে চার জনকে ধরেছে পুলিশ। এর মধ্যে দু’জন উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর এক বাসিন্দার অপহরণে অভিযুক্ত। মিলেছে একটি পাইপগান। এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ সোমবার তাদের নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম খোরশেদ বিশ্বাস, নিখিল ঘোষ, মজবুল মল্লিক ও গোপাল দাস। প্রথম জনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের নওদায়। নিখিল নদিয়ার কালীগঞ্জের বাসিন্দা, মজবুলের বাড়িও ওই এলাকার নিমতলায়। গাড়ির চালক গোপাল পলাশির হাজরাপাড়ার লোক। গাড়িটিও নদিয়ার। বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “কালীগঞ্জ থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, এই লোকেরা খুনের মামলায় জড়িত।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাতে গলসিতে একটি গাড়িকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁদের কাছে খবর পেয়ে রাত ৮টা নাগাদ গলসি থানা থেকে পুলিশ খোঁজ নিতে গেলে গাড়িটি তীব্র গতিতে পালাতে শুরু করে। ধাওয়া করে পুলিশ গাড়িটি ধরে। তাতে চার জন ছিল। কেনার জন্য পুরনো গাড়ির খোঁজে গলসিতে এসেছে বলে তারা পুলিশের কাছে দাবি করেছিল। কিন্তু তাদের আটক করে খোঁজখবর নিতেই পুলিশ জেনে যায়, তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ছাড়াও খুন-ডাকাতির নানা মামলা রয়েছে। এয়ারপোর্ট থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর (বুধবার) মিনাখাঁর দেবীতলার বাসিন্দা খায়রুল লস্করকে কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকেই অপহরণ করা হয়েছিল। তাঁর পরিবারের কাছে ৪ লক্ষ টাকা ‘মুক্তিপণ’ চাওয়া হয়। গত শনিবার কয়েক জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের খোঁজা হচ্ছিল। তবে খোরশেদ ও নিখিল গ্রেফতার হওয়ার পরেই অপহরণকারী দলের অন্যেরা খায়রুলকে ছেড়ে দিয়েছে।
|
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ কাউন্সিলরের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন কালনা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী। রবিবার রাতে কালনার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর উদ্যোগে আয়োজিত একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ওই কাউন্সিলরের হাতে পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল (গ্রামীণ) সভাপতি স্বপন দেবনাথ।কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট পরিচালিত কালনা পুরসভার পূর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন সুনীলবাবু। সম্প্রতি কালনা থানায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, সুনীলবাবুর নেতৃত্বেই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। এর পরে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয় বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। তৃণমূলে যোগ দিয়ে রবিবার রাতে সুনীলবাবুর দাবি, “পুলিশ আমায় মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। বহু বছর ধরে যে দলের হয়ে কাজ করেছি, এই ঘটনায় তারা আমার পাশে দাঁড়ায়নি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “সার্বিক ভাবে উন্নয়নের কাজে কংগ্রেস ব্যর্থ। তাই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত।” কালনার কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ রায় অবশ্য সুনীলবাবুর দাবি মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, “শহরের কাঠিগঙ্গা এলাকার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় অশান্তি হয়। সুনীলবাবু ওই এলাকার কাউন্সিলর নন। দলের বিনা অনুমতিতে তিনি থানায় গিয়েছিলেন। তবু তাঁর নামে মামলা দায়ের হওয়ার পরে দলের তরফে থানায় যাওয়া হয়েছিল।” তিনি জানান, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের দলবদলের বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বের গোচরে আনা হয়েছে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হবে, সেই অনুযায়ী কাজ হবে। তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবুর কথায়, “সুনীলদা ৪৫ বছর ধরে রাজনীতি করছেন। তাঁর যোগদানে দল উপকৃত হবে।”
|
মজুরি মেটানোর দাবিতে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেতুগ্রাম |
কংগ্রেস পরিচালিত কেতুগ্রামের নিরোল পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে সোমবার বিকেলে দশ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ৬ মাস ধরে একশো দিনের কাজের মজুরি দিচ্ছে না পঞ্চায়েত। আগামী দশ দিনের মধ্যে তা মেটানোর দাবি জানানো হয়। এ ছাড়াও পঞ্চায়েত এলাকায় নলকূপ ও রাস্তা সংস্কার, উপযুক্ত প্রাপকের হাতে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা এবং ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রধান উত্তম দাস অবশ্য মজুরি না মেটানোর অভিযোগ মানেননি।
|
স্কুলে জয়ী তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। মন্তেশ্বরের জামনা উচ্চ বিদ্যালয়ে তাঁরা সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীদের ৫-১ ব্যবধানে হারান। রবিবার এই স্কুলে ভোট হয়। রাতেই ফল প্রকাশ হয়। |