খনিশহরের পুজোয় থিমের রমরমা |
শুধু দুর্গা পুজো নয়, কালী পুজোতেও এ বার থিমের রমরমা। হোক না এক রাতের পুজো, তাতে কী! গ্বালিয়রের মন্দির থেকে কন্যাকুমারিকার বিবেকানন্দ রকের থিমে সেজে উঠেছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল। এ বারের শ্যামাপুজোয় এই সকল থিমেরই রেপ্লিকা দেখবেন শহরবাসী। এবারের মতো শেষ পুজোর প্রস্তুতি। উদ্বোধন পর্বও মিটে গিয়েছে। এর মধ্যেই মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়ে গিয়েছে দর্শক সমাগম।
সুদূর গ্বালিয়রের ‘বহু মন্দিরের’ অনুকরণে মণ্ডপ তৈরি করছে রামবাঁধ ইয়ং মেন্স্ সর্বজনীন। উদ্যোক্তাদের তরফে পুফা বসাকের দাবি, প্রায় ৭০ ফুট উঁচু এই মণ্ডপের সামনে দাঁড়ালে আসল নকল বোঝা মুশকিল হবে। কথিত, গ্বালিয়রের সিন্ধিয়া রাজ পরিবারের নবম শতকের রাজা মহীপালা একটি জোড়া মন্দির নির্মাণ করেন। একটি বড়। অন্যটি ছোট। দু’টিতেই বিষ্ণু মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ঐতিহাসিকদের দাবি, বিষ্ণুর অপর নাম ‘শাস্ত্রবাহু’ নামে মন্দির দু’টির নাম রাখা হয়। তবে লোকজনের চলতি কথায় মন্দিরের নাম গিয়েছে “শাস্-বহু মন্দির’। বাসিন্দারা অবশ্য মজা করে বড় মন্দিরটিকে ‘শাশুড়ি’ অর্থে ‘সাস্’ ও বৌমা অর্থে ছোট মন্দিরটিকে ‘বহু’ নামে ডেকে থাকেন। উদ্যোক্তারা অবশ্য বড় মন্দিরটির আদলেই মণ্ডপ বানিয়েছেন। ভিতরে বিষ্ণুর পরিবর্তে কালী মন্দির। মণ্ডপে ‘অলঙ্কার’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বহু দেবদেবীর মূর্তিও। উপকরণ বলতে প্লাই-উড, আইসক্রিমের কাঠি, ইউক্যালিপটাসের পাতা আর অস্ট্রেলিয়ান ঘাস। চন্দননগর থেকে আনা হয়েছে সুন্দর আলোকসজ্জাও।
অন্য দিকে, বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে কন্যাকুমারী মন্দির ও বিবেকানন্দ রককে থিম করেছে বার্নপুরের পাবলিক ফ্রেন্ড ক্লাবের সর্বজনীন। মণ্ডপের বাইরের অংশটি তৈরি হয়েছে কন্যাকুমারী মন্দিরের আদলে, ভিতরের অংশটিতে বিবেকানন্দ রকের ছায়া। উদ্যোক্তাদের পক্ষে যীশু বিশ্বাসের দাবি, মণ্ডপে এসে মুগ্ধ হতেই হবে দর্শনার্থীদের। মণ্ডপের চার দিকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বিলে থেকে বিবেকানন্দ হয়ে ওঠার নানা কাহিনী। পুজোকে কেন্দ্র করে বসবে মেলাও। |