পুরীর মন্দির চলে এসেছে অন্ডালেই |
নীলোৎপল রায়চৌধুরী • রানিগঞ্জ |
প্যাগোডা থেকে জগন্নাথ মন্দির, আবার হোগলা পাতার পল্লি মন্দির। সব মিলিয়ে থিমের ছয়লাপ খনি ও শিল্পাঞ্চল জুড়ে।
অন্ডালের পোস্ট অফিস মোড়ে রেজিমেন্ট অ্যাথালেটিক ক্লাবের পুজোর এ বার ৪০তম বর্ষ। মণ্ডপ সেজেছে প্যাগোডার সাজে। ভিতরে বুদ্ধ শৈলীতে শ্যামা মা অধিষ্ঠিতা। রবিবার এই মণ্ডপের আনুষ্ঠানিক দ্বারোঘাটন করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আয়োজক সংস্থার পক্ষে রাজা ঘোষ দাবি করেন, অন্ডালে তাঁদের পুজোই সেরা।
অন্ডাল রেল কলোনিতে নর্থ ইউনাইটেড ক্লাবের পুজো ৩৯ বছরে পা দিল। তাঁদের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। প্রতিমা পোড়া মাটির তৈরি। উদ্যোক্তাদের সভাপতি টুটু গুপ্তের দাবি, “তাঁদের পুজো বরাবরই দর্শক টানে।” অদূরেই ট্রাফিক জিমন্যাসিয়ামের পুজো ৪৫ বছরে পদাপর্ণ করল। পুজো কমিটির সম্পাদক অজিত মণ্ডল জানান, মন্দিরের আদলে মণ্ডপ, থাকবে ডাকের সাজের ১৪ ফুটের প্রতিমা।
রানিগঞ্জের অশোকপল্লি যুব সমাজের পুজোর বয়স ৩৯ বছর। হোগলা পাতার পল্লি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সাজিয়েছেন শিল্পীরা। প্রতিমা শ্মশানকালী। উদ্যোক্তাদের পক্ষে প্রবীর সরকার জানান, পুজোর পরের দিন পুরুলিয়ার ছৌনৃত্য, তার পরের দিন সন্ধ্যায় বিচিত্রানুষ্ঠান এই পুজোর আকর্ষণ। |
রানিগঞ্জের দক্ষিণপল্লি স্কুলপাড়া সর্বজনীনের মণ্ডপ। —নিজস্ব চিত্র। |
রানিসায়র মোড়ে নব যুবক সঙ্ঘের পুজোর এ বার রজতজয়ন্তী বর্ষ। এ বার তাদের থিম চার তলা প্রাসাদের আদলে তৈরি মণ্ডপ। প্রতিমা শ্যামাকালী। তাঁর দু’পাশে রামকৃষ্ণ ও সারদাদেবীর মূর্তি। আয়োজক সংস্থার সভাপতি সাধন সিংহের দাবি, “২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তাঁদের পুজো দেখতে দূর-দূরান্তের দর্শকেরা আসেন।”
স্কুলপাড়া দক্ষিণপল্লি সর্বজনীনের কালীপুজো এ বছর ৭৪ বছরে পা দিল। শিবলিঙ্গের আদলে তৈরি মণ্ডপে থাকছে ডাকের সাজের প্রতিমা। উদ্যোক্তাদের পক্ষে মনু দাস জানান, এই পুজো দেখতে মানুষের ঢল নামে। অশোকপল্লি উন্নয়ন সমিতির মণ্ডপ এ বার মন্দিরের আদলে নির্মিত। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দিলীপ পাণ্ডে জানান, তাঁদের পুজো ৪৮ বছর আগে শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা এখানকার পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। রানিগঞ্জের জেমারি পল্লিমঙ্গল সমিতির পুজো ১৪ বছরে পা দিল। প্রতিবারের মতো এ বারেরও আকর্ষণ ২৭ ফুটের কালী। রানিসায়র গ্রাম সবর্জনীনের পুজো ১০০ বছরে পা দিল। অনুষ্ঠান। কমিটির সম্পাদক প্রকাশ মাহাতো বলেন, “ভাইফোঁটার দিন প্রতি বছরই লোকগীতি ও বাউল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ওই দিন ভিড় জমে সবথেকে বেশি।”পাণ্ডবেশ্বরের তফসিলি উন্নয়ন সমিতির পুজোর এ বার ৪০তম বর্ষ। এ বারের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের আদলে। কীর্তন কোটাল জানান, অভিজাত বাড়ির পুজোয় অনেক সময়ে সকলে যোগ দিতে পারেন না। তাঁদের জন্যই ৪০ বছর আগে পুজোটি শুরু হয়।”
|