আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটি জেলার প্রত্যেক ভোটারকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী আধিকারিক সুনীল গুপ্ত। বুধবার মালদহ জেলার সমস্ত বিডিও, মহকুমাশাসক ও জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী আধিকারিক। বৈঠকে তিনি ভোটার তালিকা সংযোজন ও সংশোধন করে আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে ১০০ শতাংশ ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলায়। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সমস্ত ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া নিয়ে বৈঠক করছেন নির্বাচন দফতর। এদিন মালদহ থেকেই মুখ্য নিবার্চনী অধিকারিক তাঁর সফর শুরু করেছেন। মালদহের পর দক্ষিণ দিনাজপুরে বৈঠক করতে এদিনই তিনি বালুরঘাটে চলে গিয়েছেন। বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী আধিকারিক জানান, রাজ্যের পাঁচটি জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, কোচবিহার, বীরভূম এবং বাঁকুড়ায় ১০০ শতাংশ সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি করা হয়ে গিয়েছে। মালদহে ৯৯.৯৭ শতাংশ সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে গোটা রাজ্যে সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি হয়েছে ৯৯. ৪ শতাংশ। সমস্ত জেলায় ১০০ শতাংশ সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি করার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। জেলাগুলির অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও কলকাতায় সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী আধিকারিক। তিনি বলেন, “সচিত্র পরিচয়পত্রে সামগ্রিকভাবে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে। যেখানে রাজ্যের সচিত্র পরিচয়পত্রের হার ৯৯.৪ শতাংশ, সেখানে কলকাতা ও আশেপাশে এলাকায় সচিত্র পরিচয়পত্রের হার ৯৮.৯৯ শতাংশ।” তিনি জানান, কলকাতার শহরতলি এলাকায় বহু মানুষ বাইরে কাজ করেন বলে সেখানে সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরির কাজ ব্যহত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি ১ অক্টোবর মধ্যে গোটা রাজ্যে প্রতিটি জেলা-সহ কলকাতায় ১০০ শতাংশ সচিত্র পরিচয়পত্র বিলি করতে। তিনি জানান, ভোটার তালিকা নাম সংযোজন-সংশোধন এবং নতুন করে নাম তোলার জন্য ১ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর প্রথম দফায় এবং পুজোর পর ৩০ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্নর পর্যন্ত আবেদন করার যাবে। নাম তোলা ও সচিত্র পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য ভোটারকে নির্বাচন দফতরে যোগাযোগ করে ছবি নিজেকেই আনতে হবে। আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে আমরা ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র হাতে দেব। |