|
|
|
|
শিলিগুড়ির লজে মিলল ঝুলন্ত দেহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
লজের ঘর থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ শিলিগুড়ি থানা এলকার রাজা রামমোহন রায় রোডের একটি লজ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রাজেশ অগ্রবাল (৩৯)। তাঁর বাড়ি ওই থানা এলাকার হাকিমপাড়াতে। পুলিশ গিয়ে লজের দরজা ভেঙে রাজেশবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, হাকিমপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে তিনি থাকতেন না। রাজেশবাবু বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকতেন। মাঝে মধ্যে তিনি শিলিগুড়িতে ফিরলেও বাড়িতে যেতেন না। বাড়ির কাছে ওই লজে থাকতেন। বাড়ি থেকে তাঁর মা লজে গিয়ে রাজেশবাবুকে খাবার দিয়ে আসতেন। ওই লজের ম্যানেজার ননী ভৌমিক জানান, রাজেশবাবু মাঝে মধ্যেই ওই লজে উঠতেন। ৩১ অগষ্ট তিনি ওই লজের ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এ দিন সকালে রাজেশবাবুর মা চা এবং জল খাবার সেখানে যান। কয়েক বার ডাকার পরেও তিনি দরজা না খোলায় তাঁর মোবাইলে ফোন করেন। তার পরেও সাড়া না পেয়ে লজের এক কর্মীকে ডাকেন তিনি। ওই কর্মী পুলিন রায় ঘরের ঘুলিঘুলি দিয়ে রাজেশবাবুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এর পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজেশবাবুর বিয়ে করেননি। তিনি স্থায়ী কোনও কাজের সঙ্গেও জড়িত ছিলে না। বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। অন্য দিকে এ দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রধাননগর থানার জংশন এলাকার একটি লজ থেকে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রসাদ বিশ্বাস (৩১)। তাঁর বাড়ি ভক্তিনগর থানার হায়দরপাড়ায়। মঙ্গলবার সকালে তিনি ওই লজে ওঠেন। এ দিন রাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় লজের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|