|
|
|
|
প্রতিমা নিরঞ্জন ২৪, ২৫ ও ২৮ অক্টোবর। ২৬ ও ২৭ নয়। |
বিসর্জনের দিন বদল, সম্প্রীতি-বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শহরের অনেক মণ্ডপেই এ বার লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন পর্যন্ত থাকবে প্রতিমা। কারণ, এ বছর দশমী এবং একাদশীর পরে দু’দিনের জন্য বিসর্জন স্থগিত রাখছে প্রশাসন। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দশমীর দু’দিন পরে, ২৭ অক্টোবর ঈদুজ্জোহা। প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন, দু’টি উৎসবেই যাতে সাধারণ মানুষ সমান ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা জরুরি। এ দিন সেই বিষয়টি উদ্যোক্তাদের সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২৪ ও ২৫ অক্টোবর বিসর্জন দেওয়া যাবে। কিন্তু তার পরের দু’দিন বিসর্জন বন্ধ থাকবে। ফের বিসর্জন দেওয়া যাবে ২৮ অক্টোবর।” ওই দিনটিই প্রতিমা বিসর্জনের শেষ দিন। মমতা জানান, শুধু কলকাতা নয়, সারা রাজ্য জুড়েই এই নিয়ম বহাল থাকবে। তাঁর কথায়, “দু’টি উৎসবই রাজ্য জুড়ে পালিত হবে। তাই সর্বত্র একই নিয়ম থাকা জরুরি।” |
|
আসন্ন দুর্গোৎসব ও ঈদুজ্জোহা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক। বুধবার। ছবি: রাজীব বসু |
গত বছরই পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রথম সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে যা নজিরবিহীন। প্রশাসন সূত্রের খবর, পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে হৃদ্যতা বাড়াতেই এই ব্যবস্থা। এ দিন মমতা জানান, পুজোর সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কমিটিগুলির দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের একার পক্ষে সামাল দেওয়া কোনও মতেই সম্ভব নয়। পুলিশের একাংশ মনে করছে, পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে পুলিশের যোগসূত্র বাড়াতেই এই ‘টোটকা’ বার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, গত বছরের মতো এ বারও পুজোগুলিকে বিদ্যুতের দামে ১০ শতাংশ ছাড় দেবে সিইএসসি। পুজোর অনুমতি পেতে ‘এক জানলা’ ব্যবস্থা রয়েছে এ বারও। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম জানান, পুজোর অনুমতিপত্র বিলি শুরু হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তা জমা নেওয়া হবে।
এ দিনের বৈঠকে কয়েকটি পুজো কমিটি পুরসভার বিজ্ঞাপন-করের উপরে ছাড় দেওয়ার আর্জি জানায়। বিষয়টি দেখতে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্য কলকাতার একটি কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে কলাকার স্ট্রিটে একটি নতুন থানা তৈরির পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন মমতা।
পুজো কমিটিগুলির নানা আর্জি মেনে নিলেও ‘ওভারহেড’ গেট নিয়ে আগের অবস্থানই বজায় রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর থেকেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শহরের রাস্তায় ‘ওভারহেড’ গেট তৈরি করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। পুজোকর্তারা বলছেন, ‘ওভারহেড’ গেট বাতিল হয়ে যাওয়ায় বিজ্ঞাপনী আয় কমে গিয়েছে। এ দিন ওই নিয়ম বাতিলের আর্জি জানায় কিছু কমিটি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রাজি হননি। বরং, আইন মেনে কী ভাবে বিজ্ঞাপনের গেট তৈরি করা যায়, তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|