দ্বারকেশ্বর-গন্ধেশ্বরী জলাধার প্রকল্পের জন্য জমি খুঁজতে একটি ‘জয়েন্ট সার্ভে কমিটি’ গড়ল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। বাঁকুড়া উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগ, সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা, জেলার ২২টি ব্লকের বিডিও, বিএলএলআরও এবং জেলার বিধায়কেরা এই কমিটিতে রয়েছেন। বুধবার সার্কিট হাউসে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি সংস্কার) তথা দ্বারকেশ্বর-গন্ধেশ্বরী রিজার্ভার প্রজেক্টের নোডাল অফিসার সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য বন দফতরের কাছ থেকে আমাদের ২০৬ হেক্টর জমি নিতে হচ্ছে, যা ওদের ফিরিয়ে দিতে হবে। বাঁকুড়া জেলাতেই এই পরিমাণ জমি পাওয়া যাবে বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান। আমরা জেলার মানচিত্রে সেই সব জমি চিহ্নিতও করেছি।” তাঁর বক্তব্য, ওই জমিগুলির বর্তমান পরিস্থিতি কী এবং জমি গুলি বন দফতরকে দেওয়ার যোগ্য কি না, তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। আগামী সোমবার থেকেই ওই কমিটির সদস্যেরা জমিগুলি দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন সুশান্তবাবু। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ওই জমি দেখার কাজ শেষ করার কথা। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে দু’টি নদীর উপরে তিনটি জলাধার গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ছাতনার চামকাড়া, সুখনিবাস ও বাঁকুড়ার প্রতাপপুরে জলাধারগুলি গড়া হবে। সুশান্তবাবু বলেন, “এই প্রকল্প যেমন কৃষির জন্য অত্যন্ত জরুরি, তেমনই বন্যা রুখতে ও মাটির নীচে জলস্তরের ভারসাম্য রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, দ্রুত জমি সমস্যা কাটিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।”
|
অষ্টম শ্রেণি পাশের জাল মার্কশিট ও শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরিতে ঢোকার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল এক সরকারি কর্মীকে। ওই ব্যক্তি পাত্রসায়র ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে কাজে ঢুকেছিলেন। পদোন্নতিও হয়েছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, সাসপেন্ড হওয়া কর্মীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি সিবিআই-এর কাছে জাল শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি করা ও ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগ পাঠানো হয় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে। সবদিক খতিয়ে দেখে পাত্রসায়ের থানার কাঁটাবন গ্রামের বাসিন্দা, বছর ৩৮-এর ওই যুবককে সাসপেন্ড করেছেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) সুশান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তির নথিপত্র খতিয়ে দেখে ও তদন্ত করে জানা গিয়েছে, সেগুলি জাল। বুধবার আপাতত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।” জেলা প্রশাসনের দাবি, তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তি তাঁর ‘সার্ভিস বুকে’ আঁচুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে ওই স্কুলের অস্তিত্ব নেই। অন্য দিকে, ওই ব্যক্তির অষ্টম শ্রেণির পাশ সার্টিফিকেটে স্কুলের নাম রয়েছে ‘নামো আঁচুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়’। সুশান্ত বাবু বলেন, “নামো আঁচুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম। ওই দুটো সার্টিফিকেটই জাল বলে ওঁরা জানিয়েছেন।” সাসপেন্ড হওয়া কর্মী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি কিছু জানি না।”
|
সাত সকালেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটল পুরুলিয়া শহরের একটি সরকারি বিমা সংস্থার কার্যালয়ে। শহরের সাহেববাঁধ রোডে জেলা পরিষদের উল্টোদিকে অবস্থিত বিমা সংস্থার এই কার্যালয় থেকে বুধবার ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। বিমা সংস্থার শাখা প্রবন্ধক শ্যামল হালদার বলেন, “এ দিন সকালে বেলা সাড়ে আটটা নাগাদ স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকেই আমরা অফিসে আগুন লাগার খবর পাই। আমাদের কর্মীরাও দ্রুত পৌঁছে যান। দমকলে খবর দেওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দমকল কর্মীরা চলে আসায় বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। অফিসের সামনের দিকের খানিকটা অংশে আগুন লেগে কিছু কাগজপত্র পুড়ে গিয়েছে। তাছাড়া কিছু ক্ষতি হয়নি। ভিতরের অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই দমকলের কর্মীরা আগুন আয়ত্তে এনে ফেলেন।” দমকলের বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, দু’টি ইঞ্জিন প্রায় ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। প্রাথমিক ভাবে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
|
পুকুরের ধার থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুরুলিয়া মফস্সল থানার পুলিশ। মৃতের নাম অসিত কুণ্ড মোদক (৪৫)। বাড়ি এই থানা এলাকারই চাকলতোড় গ্রামে। মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে স্থানীয় পুকুরের ধারে তাঁর মৃতদেহ মেলে। ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জেনেছে পুলিশ। |