দলের জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে অবশেষে সমঝোতার পথেই হাঁটলেন বাঁকুড়ার দুই তৃণমূল নেত্রী, শম্পা দরিপা ও মিনতি মিশ্র।
বাঁকুড়া গালর্স হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে অভিভাবক প্রতিনিধি দেওয়া নিয়ে ওই দুই নেত্রীর মধ্যে যে সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল, অবশেষে তা মিটল। উভয় পক্ষ তিন জন করে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেন। কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় তৃণমূলের ওই প্রার্থীরাই জিতে গেলেন। গতবারেও ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে ছিল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জে তৃণমূলের কার্যালয়ে বাঁকুড়া বিধানসভার বিধায়ক মিনতি মিশ্রের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের ১২ জন প্রার্থী আলোচনা করে চূড়ান্ত ভাবে উভয় পক্ষের তিন জন করে মোট ৬ জন প্রার্থীর নাম ঠিক করেন। বাদ পড়া ৬ প্রার্থী স্কুলে গিয়ে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। বুধবার ওই স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির বিদায়ী সম্পাদক শম্পা দরিপা বলেন, “বিনা লড়াইয়ে আমাদের দলের প্রার্থীরাই ফের ওই স্কুলে ক্ষমতায় এলেন। এতেই আমি খুশি।”
সিপিএম এ বার প্রার্থী দেয়নি। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের কাছেও এই জয় এতটা সহজ ছিল না। বাঁকুড়া পুর তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাঁকুড়া শহর যুব তৃণমূল অভিভাবক প্রতিনিধির ৬টি আসনেই পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল। দু’পক্ষই নিজেদের সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারে ‘হ্যান্ডবিল’ও ছড়ায়। তৃণমূলের একাংশ দাবি করেছিল, এই দ্বন্দ্ব আদতে বাঁকুড়ার বিধায়ক মিনতি মিশ্র এবং জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শম্পা দরিপার গোষ্ঠীর লড়াই। বাঁকুড়া পুর-তৃণমূল কংগ্রেসের লাগাম রয়েছে মিনতিদেবীর হাতে। অন্য দিকে যুব তৃণমূলের কর্তৃত্বে শম্পাদেবী। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় আসরে নামেন দলের জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনার কথা কানে আসতেই মিনতিদেবীকে বলি দু’পক্ষের ১২ জন প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠক করে মীমাংসা করতে হবে। আমাদের দলে গোষ্ঠীবাজি কোনও ভাবেই চলতে দেওয়া হবে না।” শম্পাদেবী অবশ্য ওই বৈঠকে যাননি। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁর ছয় প্রার্থী অবশ্য সেখানে যান।
ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক চলার পরে সমাধান মেলে। মিনতিদেবী দাবি করেন, “আমাদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। ওই ছয় প্রার্থী মা-মাটি-মানুষের সমর্থিত প্রার্থী।” |