স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ফুলবাড়ি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। রশিদা মোল্লা নামে ওই শিক্ষিকা গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি স্বামী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জাকির অবশ্য পলাতক। তার খোঁজ করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিরিশেক আগে ঘুটিয়ারি শরিফের মাকালতলার বাসিন্দা রশিদা মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় ফুলবাড়ির জাকির হোসেনের। তাঁদের দুই ছেলে আছে। ২০০৮-এ রশিদা ফুলবাড়ি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পার্শ্ব-শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন। বছর ৪-৫ ধরে জাকিরের সঙ্গে ‘মনোমালিন্য’ চলছিল তাঁর। তারপর থেকেই রশিদা দুই ছেলেকে নিয়ে ক্যানিংয়ের মিঠেখালিতে বাড়ি তৈরি করে আলাদা থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, এলাকাতেই বাড়ি হওয়ায় জাকির মাঝেমধ্যেই স্কুলে যাওয়ার সময় রশিদার পথ আটকে টাকা চাইত। তা না দিলে রাস্তাতেই রশিদাকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। এ দিনও স্কুলে ঢোকার সময় জাকির রশিদার উপরে চড়াও হয়। স্কুল চত্বরেই রশিদাকে কিল, চড় এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। রশিদার কথায়, “বিয়ের পর থেকেই আমার উপরে নির্যাতন শুরু হয়। স্বামী তেমন কোনও কাজ করে না। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য আমায় চাপ দেওয়া হত। স্বামী নেশা করে বাড়ি ফিরে আমায় মারধর করত। এ সব নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর পাঁচেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দুই ছেলেকে নিয়ে ক্যানিংয়ে বাড়ি করে আলাদা রয়েছি।” তাঁর অভিযোগ, “এ দিন স্কুল চত্বরেই স্বামী আমাকে মারধর শুরু করে। লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে।” ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা মীনাক্ষী ওঝার দাবি, “রশিদার স্বামী স্কুলে ঢুকে ওকে মারতে শুরু করে। সহকর্মীর চিৎকার শুনে ছুটে গিয়েছিলাম। স্কুলের ছেলেমেয়েরাও বাইরে বেরিয়ে আসে। সবাই বেরোতেই রশিদার স্বামী পালায়।” |