ভারতীয় টেনিস থেকে মহেশ-বোপান্নার নির্বাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের টেনিসমহলে বেশ কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে দেখে এআইটিএ একটু হলেও পিছু হটল। এমনকী ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মহেশের বিষোদ্গারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এআইটিএ জানিয়ে দিল, শাস্তিপ্রাপ্ত দুই তারকা জাতীয় টেনিস সংস্থার কাছে আবেদন করতে পারেন। যার ব্যাখ্যা মহেশের ঘনিষ্ঠমহলের কাছে নির্বাসিত প্লেয়ারদ্বয় আদালতে যাওয়ার হুমকি দেওয়ামাত্র এআইটিএ এক পা পিছু হটল। ভূপতি বনাম ফেডারেশন ‘ম্যাচ’ এখনও অনেক বাকি।
যদিও এআইটিএ সচিব ওঝাকে এ দিন যোগাযোগ করা হলে মহেশের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, “অনিল খন্না মোটেই একনায়কতন্ত্র মনোভাব নিয়ে ফেডারেশন চালান না। পুরো কার্যকরী কমিটির ওনার ওপর পূর্ণ আস্থা আছে। তা ছা্ড়া এআইটিএ-র ছ’টা বিভিন্ন শীর্ষ কমিটির চেয়ারম্যান সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের চূড়ান্ত প্রতিষ্ঠিত মানুষেরা। আমরা বছরে তিরিশটা আইটিএফ টুর্নামেন্ট করি। দু’হাজার কোচ এআইটিএ-র বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে কোচিং দেন।” এআইটিএ-র অন্যতম শীর্ষকর্তার আরও দাবি, প্লেয়ারদের ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ এই মুহূর্তে ফেডারেশনের না থাকলেও মহেশদের মোটেই বেআইনি ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়নি। “শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এআইটিএ-র গঠনতন্ত্রের ৩৬-এর ২এ ধারায় ওদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই ধারায় কোনও প্লেয়ার দেশের হয়ে খেলতে অস্বীকার করলে তাঁকে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে নির্বাচিত না করার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে ফেডারেশনের। এবং অলিম্পিক ডাবলসের জন্য লিয়েন্ডার-মহেশ জুটিকে এআইটিএ প্রথমে নির্বাচিত করা সত্ত্বেও মহেশ খেলতে অস্বীকার করেছিল,” বললেন তিনি।
এআইটিএ-র একটি সূত্র এ দিন জানালেন, কার্যকরী কমিটির গরিষ্ঠ অংশ মহেশ-বোপান্নাকে চিরনির্বাসনে পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছিল। তখন প্রধান কর্তা খন্নাই সভায় বলেন, ভারতের পরের ২-৩টি ডেভিস কাপে ওদের দু’জনকে বরং বাদ দেওয়া হোক। তখন বাকিরা বলেন, তার চেয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওদের নাম নির্বাচনের জন্য বিবেচনা করা না হোক। তখন সিদ্ধান্ত হয়, সেই মেয়াদ হবে ২০১৪-র জুন পর্যন্ত।
এ দিকে, মহেশ-বোপান্না জুটি পরের বছরই খুব সম্ভবত ভেঙে যাচ্ছে। দেশের হয়ে একসঙ্গে অলিম্পিকে খেলাই এই জুটির লক্ষ্য ছিল। সেটা পূরণ হওয়ায় ২০১৩-এ বোপান্না খুব সম্ভবত সার্কিটে তাঁর পুরনো সফল পার্টনার পাকিস্তানের আইসাম কুরেশির সঙ্গে আবার গাঁটছড়া বাঁধবেন। ৩৮ বছরের মহেশ শোনা যাচ্ছে ৪০ বছরের বাঁহাতি তারকা ড্যানিয়েল নেস্টরের সঙ্গে নতুন জুটি বাঁধছেন। নিজের ঘনিষ্ঠমহলে মহেশ এমনও বলেছেন যে, ২০১৩-র পর আর পেশাদার সার্কিটে খেলবেন না তিনি। ভারতের হয়ে তো আর কোনও দিনই নয়। |