|
|
|
|
ঘুষ, অভিযুক্ত পরিবহণ কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থানান্তরে এসে সমস্যায় পড়েছিলেন সৈনিক দফতরের এক কর্মী। তাঁর কাছে ৩ হাজার টাকা ‘ঘুষ’ চাওয়া হয় অভিযোগ। এই অভিযোগ ঘিরেই শোরগোল পড়েছে জেলা কালেক্টরেটের অন্দরে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “সৈনিক দফতরের এক কর্মীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। অভিযোগ খতিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপই করা হবে।”
এরই মধ্যে বদলি হয়েছেন জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিপুল বিশ্বাস। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্রিয়াঞ্জন দাস। বিপুলবাবুকে বদলি করা হয়েছে জেলা পরিষদের সচিব পদে। প্রিয়াঞ্জনবাবু এতদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নজরৎ ডেপুটি কালেক্টর ও একশো দিনের কাজের নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। আরটিও পদের পাশাপাশি ওই দু’টি দায়িত্বও তাঁকে পালন করতে হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এটি ‘রুটিন’ বদলি। যদিও একে ঘিরে কালেক্টরেটে শোরগোল চলছেই। পরিবহণ দফতরের একাংশ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রায়ই নানা অভিযোগ ওঠে। এরা ‘বাড়তি’ টাকা নিয়েই লাইসেন্স-সহ যাবতী কাজ করেন বলে অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে ‘অসাধু চক্রে’র যোগ রয়েছে জেনেও পরিবহণ দফতর কোনও পদক্ষেপ করে না। এ বার খোদ সৈনিক দফতরের এক কর্মীর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থানান্তর করতে জেলা পরিবহণ দফতরে এসেছিলেন অমিয়কুমার চন্দ নামে সৈনিক দফতরের ওই কর্মী। আগে তিনি গোয়ায় ছিলেন। এখন শিলিগুড়িতে কর্মরত। পরিবারের লোকজন অবশ্য মেদিনীপুরে থাকেন। তাই মেদিনীপুরে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থানান্তর করতে গিয়েছিলেন অমিয়। তাঁর কথায়, “ড্রাইভিং লাইসেন্সের এনওসি জমা করতেই গিয়েছিলাম। তখন কল্যাণী মুখোপাধ্যায় নামে এক কর্মী ৩ হাজার টাকা চান। টাকা দিতে অস্বীকার করলে খারাপ ব্যবহার করেন।” ওই কর্মীর অবশ্য দফতরের আধিকারিকদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারন) রজতকুমার সাইনি’র সঙ্গে দেখা করেন অমিয়। সমস্ত ঘটনার কথা জানান। লিখিত অভিযোগও করেন। অমিয় বলেন, “এই দফতর নিয়ে অনেক কথাই শুনেছি। কিন্তু, এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম।”
এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন পরিবহণ দফতরের সরকার মনোনীত সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন মানুষ সমস্যায় পড়বেন। জানি না এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়া দরকার। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করাই উচিত।” |
|
|
|
|
|