|
|
|
|
নাবালিকা বিয়ে করতে এসে গ্রেফতার দুই ভাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
রাত কাটানোর কথা ছিল বিয়ের বাসরে। যদিও শেষমেষ ঠাঁই হল থানার লকআপে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোলবা থানার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের জারুরা ধাড়াপাড়ার বাসিন্দা দুই ভাই অসীম এবং বিদ্যুৎ দাস। অসীমের বয়স পঁচিশ এবং তার ভাই বিদ্যুতের বয়স বছর কুড়ি। বাবা-মায়ের অমতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভদ্রেশ্বরে চলে আসেন দুই ভাই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেখানে গভর্নমেন্ট কলোনির বাসিন্দা এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে বড় ভাই অসীমের পরিচয় হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্ক গড়ে উঠে। দাদার সুবাদে ভাই বিদ্যুতেরও সেখানে যাতায়াত ছিল।
ওই পাড়ারই বাসিন্দা, দাদার প্রেমিকার এক বান্ধবীর সঙ্গে বিদ্যুতের সম্পর্ক তৈরি হয়। দু’টি মেয়েই নাবালিকা। বয়স ১৬-১৭। সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হতেই একটি মেয়ের বাড়ির লোকজন বেঁকে বসেন। কিন্তু তত দিনে ‘বিয়ের ভুত’ চেপেছে দুই ভাইয়ের মাথায়। মঙ্গলবার তারা বাড়ি থেকে সোজা চলে আসে ভদ্রেশ্বরে। সঙ্গে বিয়ের পোশাক, আর কিছু টাকা।
ঠিক ছিল, রাতেই বিয়ে সেরে সেখানে থেকে যাবে। পোলবার বাড়িতে আর ফিরবে না। সেই মতো অসীমের শ্বশুরবাড়িতে বিয়ের আসরের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এ বার বাধ সাধে ভদ্রেশ্বর থানা। ওই কিশোরীদের বিয়ের বয়স না হওয়ায় গোপনসূত্রে খবর পেয়ে যায় পুলিশ। হাজির হয় বিয়ের আসরে। নাবালিকা বিয়ের অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। সঙ্গে এক কিশোরীর জনের বাবা ও অন্য জনের মাকেও গ্রেফতার করে। ভেস্তে যায় বিয়ের আসর। অসীম বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সেই মতো আমরা দু’জনে বিয়ে করব বলে ঠিক করি। কিন্তু বাধ সেধেছে আমাদের পরিবারের আপত্তি। কিন্তু এটা জানতাম না, আঠারো বছরের কম মেয়েদের বিয়ে করা যায় না।” দুই কিশোরী গোটা ঘটনায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বাড়ির অমত ছিল ঠিকই, কিন্তু আমরা এ বিয়েতে রাজি। ওদের ভালবাসি। এখন আইন-কানুন মেনে আরও কিছু তা হলে অপেক্ষা করতে হবে। |
|
|
|
|
|