|
|
|
|
ব্যাঙ্ক থেকে মিলছে না টাকা, ক্ষোভ শ্রমিকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
শ্রমিকদের মজুরির চেক জমা পড়েছে প্রায় পৌনে দু’মাস আগে। কিন্তু এখনও ব্যাঙ্ক থেকে সেই টাকা তুলতে পারেননি আরামবাগের হরিণখোলা-১ পঞ্চায়েত এলাকার ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০০ শ্রমিক। হরিণখোলার যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ওই টাকা পাওয়ার কথা, সেই শাখার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রায় প্রতিদিনই ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শ্রমিকেরা। সেই ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনেও। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের গাফিলতি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান বা বিডিও কোনও পদক্ষেপ করছেন না।
সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ম্যানেজার দেবব্রত উপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুজোর আগে টাকা পাওয়ার কোনও নিশ্চয়তাই দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “তিন জন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী নেই। বাকি ৩ জন মিলে কাজ সামলানো যাচ্ছে না। দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার যাবতীয় প্রকল্পের অ্যাকাউন্ট এই শাখায় রয়েছে। তা ছাড়া, সাধারণ গ্রামবাসীদের অ্যাকাউন্টও রয়েছে। কর্মী চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়মিত দরবার করছি। কিন্তু পুজোর আগে পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস পাইনি।” শ্রমিকদের কাছে সহযোগিতার দাবি জানান তিনি। পুজোর আগে টাকা দেওয়ার চেষ্টার আশ্বাসও দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, বর্ষার মরসুমে এমনিতেই ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ কম। গুটিকয়েক মাত্র প্রকল্প চলছে ৩৫ নম্বর বুথের অধীন বিরাটি, হরাদিত্য এবং নবাসন গ্রামে। দফায় দফায় সেই কাজ সম্পন্ন করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হরিণখোলা শাখায় চেক জমা পড়ে চার দফায় গত ২৫ জুলাই, ৮ অগস্ট, ২৭ অগস্ট এবং ৬ সেপ্টেম্বর। মোট ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭২৪ টাকা। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ২০০ জন শ্রমিক পালা করে ওই কাজ করেছেন। কিন্তু এখনও তাঁরা কাজের মজুরি পাননি। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বিরাটি গ্রামের তারক সাঁতরা, হরাদিত্য গ্রামের নদেরচাঁদ কুণ্ডু প্রমুখের অভিযোগ, “দু’মাস আগে পর্যন্ত কাজ করে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা পেয়েছি। ব্যাঙ্কের কর্মী সংক্রান্ত অসুবিধা থাকলে অন্তত ২৫ জুলাই এবং ৮ অগস্টে জমা পড়া চেকগুলির টাকা দেওয়া হচ্ছে না কেন? আমাদের সংসার চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে।” আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই বলেন, “সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। যে কোনও উপায়ে শ্রমিকরা যাতে পুজোর আগেই টাকা পান, সে বিষয়ে চেষ্টা চলছে।” পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের অজিত রায় বলেন, “শ্রমিকদের টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে আমরা লাগাতার চাপ দিচ্ছি। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। ওঁরা বলছেন, কর্মীর অভাবে দেরি হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|