|
|
|
|
|
ইংরেজিতে কার কত দৌড়,
পরখ করবে অ্যাপটিস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
কে কোথায় ইংরেজি শোনা, বলা বা লেখার দক্ষতায় দাঁড়িয়ে? হাতে-গরম ফলাফল মিলবে ২৪ ঘণ্টায়। পেশাদারদের ইংরেজির দৌড় যাচাই করার এই নতুন ব্যবস্থা এ দেশে চালু করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি (বিসিএল)। কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী ইংরেজি প্রয়োগের এই আন্তর্জাতিক পরীক্ষা-বিধি ‘অ্যাপটিস’ বুধবার কলকাতায় পেশ করলেন বিসিএল-কর্তৃপক্ষ।
এই ‘অ্যাপটিস’ আদতে কী? ভাষাজ্ঞানের, বিশেষত ইংরেজি ভাষায় কার কতটা দখল, তা পরিমাপ করার একটি সফ্টওয়্যার হল ‘অ্যাপটিস’। ওই সফ্টওয়্যার অবশ্যই কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য।
কী ভাবে ইংরেজি-দক্ষতা পরখ করবে অ্যাপটিস? বিসিএল-কর্তৃপক্ষ জানান, কোনও সংস্থা যদি কর্মী নিয়োগের সময়েই প্রার্থীর ভাষা-যোগ্যতা যাচাই করতে চায় অথবা নিয়োগের পরে কর্মীর কাজের মূল্যায়নে উদ্যোগী হয়, সে-ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে অ্যাপটিস। কোনও সংস্থা চাইলে ন্যায্য দামে তাদের কাছে অ্যাপটিস-এর সফ্টওয়্যার পৌঁছে দেবে বিসিএল। সংস্থার কম্পিউটারে ঢুকে পড়বে অ্যাপটিস। পরীক্ষার্থীরা উত্তর দিলে বিসিএল-এর পরীক্ষকেরাই দ্রুত মূল্যায়ন করে ফলাফল জানিয়ে দেবেন। ইংরেজি ভাষায় কার দখল কতটা, বিভিন্ন গ্রেডের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিসিএল-এর কর্তাদের মতে, ইংরেজির জ্ঞানগম্যি সকলের এক রকম থাকার দরকার নেই। তাঁরা বলছেন, “কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কর্মীর কাজ চালানোর মতো ইংরেজি-জ্ঞান থাকলেই চলবে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার আবার ঢের বেশি দক্ষতা দরকার। অ্যাপটিস দেখবে, নিজ নিজ ক্ষেত্র অনুযায়ী পরীক্ষার্থীরা প্রত্যাশিত মানে পৌঁছতে পারছেন কি না।”
কলকাতার কর্পোরেট বলয় এবং শিক্ষাজগতের লোকজন ইতিমধ্যেই অ্যাপটিস নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। যেমন মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি স্কুলের অধ্যক্ষা মালিনী ভগত। তিনি বলছেন, “অ্যাপটিস-এর মাধ্যমে আমার স্কুলের ইংরেজির শিক্ষকদের পেশাদারি দক্ষতা পরখ করা যেতে পারে।”
ব্রিটেনের বাইরে বেশ কয়েকটি দেশের বিশেষজ্ঞ বা বিশিষ্টজনেরা অ্যাপটিস-এর কার্যকারিতার ব্যাপারে আশাবাদী। কসোভো, মিশর বা কলম্বিয়া যেমন মনে করছে, তাদের দেশের কূটনীতিকদের ইংরেজির দক্ষতা পরখ করার জন্য এই ব্যবস্থাটিই উপযুক্ত। সংস্থার অন্যতম উপদেষ্টা ফিলিডা স্কেলেকেন্স নিজে এ দেশের বিভিন্ন শহরে পাঁচতারা হোটেল এবং বিপিও সংস্থার কর্মচারী থেকে ম্যানেজার এবং স্কুলশিক্ষকদের ইংরেজি-জ্ঞান খতিয়ে দেখেছিলেন। |
|
|
|
|
|