|
|
|
|
‘গঙ্গা-যাত্রা’য় সভা নাকচ রাজ্যের, মমতায় ক্ষুণ্ণ উমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিপিএমের পরে এ বার রাজ্য সরকারের কোপে বিজেপি-র সভা!
এ রাজ্যে গঙ্গাসাগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীর ‘গঙ্গাসমগ্র যাত্রা’-পথের কোথাও সভা-সমাবেশ, এমনকী মাইকে ঘোষণা করারও অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে উমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কোনও ধর্মস্থানে তিনি যেতে পারেন বা সাধারণ ভাবে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু খোলা জিপেও কোথাও হ্যান্ডমাইক পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন না। গঙ্গাসাগর থেকে বহরমপুর পর্যন্ত সবক’টি থানাকে রাজ্য স্বরাষ্ট্র (পুলিশ) দফতর এই নির্দেশ দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্তে ‘ক্ষুণ্ণ’ উমা বুধবার কলকাতায় বলেছেন, “গঙ্গার দূষণরোধে গঙ্গাসাগর থেকে গঙ্গোত্রী পর্যন্ত আমার এই যাত্রায় সব ধর্ম, রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এ রাজ্যে গঙ্গা দূষণ ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করতেই এই যাত্রা। তা-ও রাজ্য সরকার কেন বাধা দিচ্ছে বুঝলাম না!” তাঁকে নির্বিঘ্নে ‘গঙ্গাসমগ্র যাত্রা’ করার অনুমতি দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে আবেদন জানিয়েছেন উমা। তাঁর কথায়, “সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে এই আবেদন জানাচ্ছি। প্রশাসন বাধা দিলে, আমাকে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকালেও ভীত নই। জেল থেকে বেরিয়ে আবার যাত্রা করব।” |
|
বুধবার কলকাতায় উমা। —নিজস্ব চিত্র |
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে এ রাজ্যে উমাকে কোনও জনসমাবেশে বক্তৃতা করতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা জানান, উমার সভার জেরে রাজ্যে কোথাও যাতে ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি তৈরি না-হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ১ অক্টোবর সভার জন্য অনুমতি চেয়েছিল সিপিএম। সেখানে সভার অনুমতি না-দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম নেতৃত্বকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। বিজেপি-র ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটায় দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের কটাক্ষ, “তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দল সভা করুক, এটা ওঁরা (তৃণমূল নেতৃত্ব) চান না। অন্য দলকে সভা করতে দিতে ভয় পাচ্ছেন নাকি ওঁরা?”
উমার কাল, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম থেকে যাত্রা শুরুর কথা। সেখানে একটি সভার পরে ওই দিন সন্ধ্যায় কলকাতার বড়বাজার, শনিবার নবদ্বীপের রানিরঘাট এবং রবিবার বিকেলে বহরমপুরে জনসভা করার কথা ছিল উমার। কোনও জায়গাতেই সভা করার অনুমতি না-মেলায় রাহুলবাবুর অভিযোগ, “বিজেপি আর সিপিএমের মধ্যে কোনও প্রভেদ করছে না তৃণমূল! রাজ্যে গণতন্ত্র থাকুক, মমতা চান না!” রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, ইউপিএ-২ সরকার ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে মমতা বিজেপি-র দিকে ঝুঁকছেন বলে বামেরা প্রচার করতে পারে। ওই অংশের ব্যাখ্যা, সেই প্রচারের আগাম মোকাবিলা করতেই মমতা কৌশলে বিজেপি-কেও সভার অনুমতি না-দেওয়ার প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। |
|
|
|
|
|