শহরের কোনও এক জায়গায় জড়ো হবে তাঁদের গাড়ি। কেউ জেট এয়ারের পাইলট, কেউ ইন্ডিগোর বিমানসেবিকা। সেখান থেকে পুলিশ কনভয় করে তাঁদের নিয়ে যাবে বিমানবন্দরে। বৃহস্পতিবার বন্ধের দিনে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সারা দিনে এ ভাবে বেশ কয়েক বার কনভয় যাতায়াত করবে বিমানবন্দরে।
এর ফলে বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে অনেক পাইলট ও সেবিকাকে খানিক অপেক্ষাও করতে হতে পারে। এয়ারলাইন্স অপারেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সর্বেশ গুপ্ত জানান, পাইলট ও সেবিকাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এটা করা হচ্ছে। একই ভাবে অন্য শহর থেকে কলকাতায় এসে হোটেল যাওয়ার পথেও তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে বিমানবন্দরে। বেশ কিছু গাড়ি একত্রিত হয়ে ছুটবে ভিআইপি দিয়ে। বিমান পরিষেবার মতো চালু থাকছে মেট্রো রেলও। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ২৭০টি ট্রেন চালানো হবে। আর দশটা অফিস দিনে যে সূচি মেনে ট্রেন চলে এ দিনও তা বহাল থাকবে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভলভো বাস পরিষেবা চালু থাকছে। তবে বেশির ভাগ চালক ও কর্মী দূরে থাকেন। ফলে, তাঁদের সময় মতো গ্যারেজে পৌঁছনোর উপরে নির্ভর করছে, কতগুলো বাস চলবে সে বিষয়টি। খোলা থাকবে প্রি-পেড ট্যাক্সি কাউন্টার। যে ট্যাক্সিগুলি বিমানবন্দরে যাত্রীদের ছাড়তে আসবে, তাতেই তুলে দেওয়া হবে যাত্রীদের। অন্য বন্ধের দিনের মতো একটি ট্যাক্সিতে একাধিক যাত্রীকে শেয়ার করেও যেতে হতে পারে।
বৃহস্পতিবার জেট এয়ারওয়েজ ও স্পাইসজেট তাদের উড়ানসূচি অপরিবর্তিত রাখছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে উড়বে এমিরেটসের উড়ান। এয়ার ইন্ডিয়াও নির্ধারিত সময়সূচি মেনে বিমান চালাবে বলে জানিয়েছে। তবে, সকালে ও বিকেলে দু’টি আগরতলা উড়ানের জায়গায় বিকেলে একটি মাত্র উড়ান ছাড়বে। সন্ধ্যায় পর পর দু’টি মুম্বই উড়ানের একটিকে বাতিল করা হয়েছে। ইন্ডিগো সুত্রে জানা গিয়েছে, তারাও উড়ানসূচি অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে, বাইরে থেকে বিমান নিয়ে যে পাইলট ও বিমানসেবিকারা আসবেন, তাঁদের বিমানবন্দরের কাছের কোনও হোটেলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমানে খাবারও সঠিক সময়ে যাতে পৌঁছে যায়, তার জন্য বুধবার রাত থেকেই হোটেল সংস্থা তাদের কর্মীদের রেখে দিয়েছে বিমানবন্দরে। |