প্রয়াত সিপিএম বিধায়কের স্মরণসভা কার্যত শাসক-বিরোধী প্রচারমঞ্চের চেহারা নিল।
বুধবার বিকেলে ইস্পাতনগরীর তিলক ময়দানে দুর্গাপুরের সাত বারের বিধায়ক সিপিএমের দিলীপ মজুমদারের স্মরণে সভার আয়োজন করেছিল সিপিএম। কংগ্রেসের এক নেতা সভায় উপস্থিত থাকলেও তৃণমূলের কেউ ছিলেন না। সেখানেই সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য নিরুপম সেন বলেন, “রাজ্যে স্বৈরাচারীর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। গণতন্ত্রের উপরে আক্রমণ নেমে এলে তা থেকে কেউ রেহাই পান না। সাধারণ মানুষও না।” দলের জেলা সম্পাদক অমল হালদার দাবি করলেন, “ষাটের দশকে গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছিল। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন দিলীপবাবুর মতো নেতারা। আবার রাজ্যে সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুরে বিভিন্ন নির্বাচনের সন্ত্রাসই তার প্রমাণ।” |
সিপিএম সূত্রের খবর, অবিভক্ত বাংলাদেশ থেকে বাবার হাত ধরে কলকাতা এসেছিলেন দিলীপবাবু। পড়াশোনা শেষ করে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে কাজে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে ডিএসপি-তে হিন্দুস্থান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বামপন্থী শ্রমিক আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। পরে সংগঠনের সহ-সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ থেকে সাত বার বিধায়ক নির্বাচিত হন। দুর্গাপুর ও সংলগ্ন এলাকায় শ্রমিক, ছাত্র ও কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্বও দেন। দীর্ঘদিন দলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ৩১ অগস্ট ভোরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
অমলবাবুর বক্তব্য, “দিলীপবাবু মারা যাওয়ার আগে দেখে গেলেন, কী ভাবে শ্রমিকেরা কাজ হারাচ্ছেন। বর্তমান রাজ্য সরকার যে নীতি নিয়েছে, তাতে নতুন শিল্প হবে না। চাকরি হবে কী করে? তৃণমূলের সমর্থকেরাও অচিরেই তা বুঝতে পারবেন।” দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য রথীন রায়, প্রাক্তন বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবতর্ীর্ প্রমুখ সভায় হাজির ছিলেন। |