অনাস্থা ভোটে যোগ দিতে আসা দুই দলীয় সদস্যকে ‘আটকে রাখা’র অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী পুলিশ ওই দুই সদস্যকে উদ্ধার করতে গেলে তৃণমূলের কয়েকজন সদস্য এক পুলিশকর্মীর হাত ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। এর জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের-২ ব্লকের ঘোটর পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোটাভুটি স্থগিত হয়ে যায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) অলোক রাজুরিয়া বলেন, ‘‘জখম পুলিশ কর্মী উদয় সিংহ-এর অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল সমর্থক সামসুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও চার জন পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতে মোট আসন ১০টি। নির্বাচনে তৃণমূল ৬টি কংগ্রেস ৪টি আসনে জয়ী হয়। প্রধান হন তৃণমূলের স্বপ্না হাজরা। কিন্তু দিন পনেরো আগে প্রদীপ সাহা ও দেবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। প্রদীপবাবুর দাবি, “যোগ্য সম্মান না পেয়ে আমরা অনাস্থা এনেছিলাম।” তিনি জানান, এ দিন আমরা দু’জন অনাস্থা ভোটাভুটিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় কিছু ‘বহিরাগত’ আমাদের ঘিরে ফেলে হুমকি দেয়। বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। সেই সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে তৃণমূলের লোকজন মেরে উদয় সিংহ নামে এক পুলিশকর্মীর হাত ভেঙে দেয়।
মগরাহাট ব্লক কংগ্রেস নেতা সুজিত পাটোয়ারি বলেন, “তৃণমূলের হাতে পুলিশই যখন মার খাচ্ছে তখন আর আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? তা ছাড়া ওরা অন্যায়ভাবে অনাস্থা ভোটও বানচাল করল।”
মগরাহাট ২-এর বিডিও রিজওয়ান ওয়াহাব বলেন, “গণ্ডগোলের জেরে ভোটাভুটি স্থগিত হওয়ায় প্রধান পদের কোনও পরিবর্তন হল না। আগামী ৬ মাসের আগে নতুনভাবে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।’’ |